সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের দুটি পেজের বিরুদ্ধে সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগ তুলে মামলা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা করেন তিনি। এজাহারে তিনি অভিযুক্ত দুটি ফেসবুক পেজের নামও উলেস্নখ করেছেন।
সারজিস আলম এজাহারে উলেস্নখ করেছেন, বুধবার বেলা ১১টা ২০ মিনিটে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লগইন করেন। দেখতে পান উবঢ়ধৎঃসবহঃ ড়ভ ইধশংযধষ, টহরাবৎংরঃু ড়ভ উযধশধ ও ঈৎরসরহধষং উট (যঃঃঢ়ং://িি.িভধপবনড়ড়শ.পড়স/ঈৎরসরহধষং উউট) নামে দুটি পেজ থেকে তার বিরুদ্ধে বানোয়াট তথ্য দেওয়া হয়েছে। তার একটি অব্যবহৃত হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টকে কেন্দ্র করে এডিটেড কিছু চ্যাটের স্ক্রিনশট প্রকাশ করে একটি পোস্ট আপলোড করা হয়েছে। ওই পোস্টে তার বিরুদ্ধে অসত্য ও মানহানিকর অভিযোগ আনা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ সমন্বয়ক নাফিসা ইসলাম সাকাফির জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে সোচ্চার অবস্থানের জন্য তার বিরুদ্ধে সাইবার বুলিংয়ের চক্রান্ত ও মিথ্যা কিছু অভিযোগও তোলা হয়েছে সারজিসের বিরুদ্ধে।
এছাড়া জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে নিজ সিদ্ধান্তে তার সরে আসার বিষয়টি মিথ্যা ও তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে উলেস্নখ করা হয়েছে। যা অসত্য।
সারজিস আরো উলেস্নখ করেন, 'এ দুটি পেজ থেকে তার বিরুদ্ধে চরম মানহানিকর বিভ্রান্তিমূলক তথ্য, এডিটেড স্ক্রিনশট ও কুরুচিপূর্ণ এডিটেড ছবি পোস্ট করা হচ্ছে। এসব কর্মকান্ডের কারণে তার ব্যক্তিত্ব ও চরিত্রের অপূরণীয় ক্ষতিসাধন হয়েছে। এমন ভিত্তিহীন ও কুরুচিপূর্ণ প্রচারণা তাকে সামাজিকভাবে হেয়-প্রতিপন্ন করেছে, এমনকি তিনি চরম মানহানির শিকার হচ্ছেন।'
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, 'ফেসবুকে সারজিসকে নিয়ে আজেবাজে মন্তব্য করার কারণে তিনি মামলা করেছেন। এসব মামলা সাইবার ক্রাইম তদন্ত করবে। তিনি ফেসবুক পেজের লিংক ও কিছু ছবি দিয়েছেন। এগুলো যাচাই-বাছাই ছাড়া কিছু বলতে পারছি না। আইনি কার্যক্রম চলছে। তদন্তের পর সবকিছু বলা যাবে।'