বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২
পিরোজপুর এলজিইডি

সাবেক ২ নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ১৩ কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
  ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
সাবেক ২ নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ১৩ কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

উন্নয়ন প্রকল্পের শতাধিক কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তের স্বার্থে পিরোজপুর এলজিইডির সাবেক দুই নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালকসহ ১৩ কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর নিষেধাজ্ঞার চিঠি ইসু্য হলেও সেটি সম্প্রতি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, উপসচিব মো. কামরুজজামান স্বাক্ষরিত পত্রে ১৩ কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইমিগ্রেশন বিভাগকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর ইসু্য ওই চিঠি সম্প্রতি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। জেলায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন না করে ঠিকাদারের যোগসাজশে কয়েকশ' কোটি টাকা আত্মসাতেও অভিযোগ তদন্ত করছেন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক টিম। দুর্নীতির তদন্ত এগোচ্ছে বলে সাধারণ মানুষ উৎসাহ

1

নিয়ে তা প্রচার করছেন।

অভিযোগ আছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের অধীনে বরিশাল বিভাগীয় প্রকল্প, বরিশাল ঝালকাঠি পিরোজপুর প্রকল্প (বিজেপিপি), পিরোজপুর জেলা উন্নয়ন প্রকল্পসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের কার্যাদেশ হাতে নেওয়ার পরেই ঠিকাদাররা কাজ না করে অথবা কোথাও আংশিক কাজ করে বরাদ্দের পুরো টাকা তুলে নিতেন। এতে সহায়তা করতেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ওইসব কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

ভান্ডারিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলামের ঠিকাদারি লাইসেন্সে ইফতি ইটিসিএল এবং রুপালী কনস্ট্রাকশনসহ ৫-৬টি লাইসেন্সের শত শত কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে আছে। একই লাইসেন্সে নেছারাবাদে একাধিক কাজ করতেন উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান সুমন। ওইসব কাজের অনুকূলে বরাদ্দের সিংহভাগ টাকা তুলে লাপাত্তা হয়েছেন কথিত ঠিকাদার শফিকুর রহমান সুমন। তবে, এসব অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য শফিকুর রহমান সুমনকে একাধিকবার ফোন দিলেও ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

এর মধ্যে স্বরূপকাঠি উপজেলায় শত কোটি টাকার কাজ অসমাপ্ত অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা দেওয়া সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী দু'জন হলেন- আব্দুস সাত্তার হাওলাদার ও সুশান্ত রঞ্জন রায়। অন্য কর্মকর্তারা হলেন- এলজিইডির প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হাই (পিআরএল), আদনান আক্তার আজম, সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম, উপসহকারী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ, রুবায়েত তালুকদার, বদরুল আলম, হিসাব রক্ষক হুমায়ুন কবির (পিআরএল), মোজাম্মেল হক, আনোয়ারুল ইসলাম ও সার্ভেয়ার শাহানুর আলম।

এ বিষয় জানার জন্য পিরোজপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী রনজিত কুমার রায়কে ফোন দিলে তিনি তা রিসিভ করেনি।

ঠিকাদার মো. খোকন মিয়া ও আইউব আলী হলুদ বলেন, 'নির্বাহী প্রকৌশলীসহ অফিসের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা মিরাজ গংদের অপকর্মে সহায়তা করেছে বলেই সাধারণ ঠিকাদাররা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।'

সরকারের কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করতে সহায়তাকারী অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত হওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে