সাম্প্র্রতিক সময়ে ইউরোপীয় ফুটবলের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়গুলোর একটি, ইউরোপিয়ান সুপার লিগ। প্রস্তাবিত ক্লাব ফুটবলের এই প্রতিযোগিতার পক্ষে-বিপক্ষে আছেন অনেকে। এবার নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করল ফিফা। এতে অংশ নিলে বিশ্বকাপসহ ফিফা আয়োজিত কোনো প্রতিযোগিতায় ওই খেলোয়াড় খেলতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থাটি।
উয়েফা ও মহাদেশীয় বাকি পাঁচ কনফেডারেশনের সঙ্গে মিলে এক যৌথ বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করে ফিফা। এই ধরনের কোনো প্রতিযোগিতার স্বীকৃতি দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে, 'ফিফা ও ছয় কনফেডারেশন (এএফসি, সিএএফ, কনকাকাফ, কনমেবল, ওএফসি ও উয়েফা) আবারও পরিষ্কারভাবে জানাচ্ছে যে, কিছু ইউরোপিয়ান ক্লাবের অংশগ্রহণে ইউরোপিয়ান 'সুপার লিগ' আয়োজন নিয়ে সম্প্রতি গণমাধ্যমে যে কথা উঠেছে, তা কোনোভাবেই ফিফা বা এর প্রতিনিধিত্ব করা কোনো কনফেডারেশন স্বীকৃতি দেবে না। আর এই ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া কোনো ক্লাব বা খেলোয়াড়কে ফিফা বা তাদের প্রতিনিধিত্ব করা কোনো কনফেডারেশনের আয়োজিত কোনো প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া হবে না।'
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বিকল্প হিসেবে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ আয়োজনের বিষয়টি নিয়ে অনেক বছর ধরে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। গত দুই বছর যা আরও বেড়েছে। ২০১৮ সালের নভেম্বরে জার্মান ম্যাগাজিন ডের স্পিগেল ফাঁস হওয়া কিছু তথ্য-উপাত্তের বরাত দিয়ে জানায়, ইউরোপের বড় ক্লাবগুলো নিয়ে একটি সুপার লিগ আয়োজনের পরিকল্পনা করছে রিয়াল মাদ্রিদ।
যদিও এই ক্লাবগুলোর বেশির ভাগই নিজেদের মধ্যে তেমন কোনো আলোচনা হয়নি বলে দাবি করে আসছে। রিয়াল প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেস অবশ্য আগের মতোই ইউরোপীয় ক্লাব প্রতিযোগিতায় বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রয়োজন বলে মনে করেন। কিছুদিন আগে জনসম্মুখে এ বিষয়ে সরাসরি মন্তব্যও করেন তিনি। ইউরোপিয়ান সুপার লিগে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন বলে গত অক্টোবরে জানিয়েছিলেন বার্সেলোনার সাবেক প্রেসিডেন্ট জোজেপ মারিয়া বার্তোমেউ। সেই সময় যা তুমুল সমালোচনার জন্ম দেয়।
গত সোমবার জুভেন্টাস প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেয়া আগনেলিস্নর সঙ্গে দেখা করতে তুরিন যান পেরেস। আগনেলি-একই সঙ্গে ইউরোপিয়ান ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের (ইসিএ) প্রধানও। এর তিন দিন পরই বিতর্কিত প্রতিযোগিতাটি নিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করল ফিফা। বৃহস্পতিবারের যৌথ বিবৃতিতে এটাও জানানো হয়েছে, আরও বড় পরিসরে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজনের ব্যাপারে উয়েফা ও অন্য কনফেডারেশনগুলোর স্পষ্ট সম্মতি মিলেছে।