দেশের ক্রীড়া সাংবাদিক ও ক্রীড়া লেখকদের সুপ্রাচীন সংগঠন বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ)। ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার দুই বছর পর অর্থাৎ ১৯৬৪ সাল থেকে সেরা ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের পুরস্কৃত করে আসছে সংগঠনটি। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল রোববার জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২০২২ সালের সেরাদের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। ক্রিকেটার লিটন দাস হয়েছেন বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ। বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন পেয়েছেন পপুলার চয়েজ অ্যাওয়ার্ড।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী, ইন্টারন্যাশনাল স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন অব এশিয়ার (এআইপিএস এশিয়া) ভাইস প্রেসিডেন্ট মোবারক আলবোয়াইন ও সেক্রেটারি জেনারেল আমজাদ আজিজ মালিক।
ফর্মহীনতা কাটিয়ে গত বছর থেকে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত সময় কাটাচ্ছেন টাইগার ওপেনার লিটন দাস। মূলত তারই প্রেক্ষিতে ২০২২ সালের বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
২০২২ সালের পুরস্কারপ্রাপ্তরা :
বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ : লিটন দাস (ক্রিকেট); পপুলার চয়েজ অ্যাওয়ার্ড : সাবিনা খাতুন (ফুটবল); বর্ষসেরা ক্রিকেটার (পুরুষ) : লিটন দাস, বর্ষসেরা ক্রিকেটার (নারী) : নিগার সুলতানা জ্যোতি, বর্ষসেরা ফুটবলার (পুরুষ) : রবসন দি সিলভা রবিনিয়ো (ব্রাজিল), বর্ষসেরা ফুটবলার (নারী): সাবিনা খাতুন, বর্ষসেরা আর্চার : নাসরিন আক্তার, বর্ষসেরা হকি খেলোয়াড় : আশরাফুল ইসলাম, বর্ষসেরা অ্যাথলেট : ইমরানুর রহমান, বর্ষসেরা কোচ : গোলাম রব্বানী (বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল), উদীয়মান ক্রীড়াবিদ : নাফিজ ইকবাল (টেবিল টেনিস), সিফাত উলস্নাহ গালিব (ব্যাডমিন্টন), তৃণমূলের সংগঠক : আমিরুল ইসলাম (কুষ্টিয়ার সাঁতার কোচ), বিশেষ সম্মাননা : সুমিতা রানী (হার্ডলার), সেরা সংস্থা : বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন ও বিশেষ সংবর্ধনা : সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী দল ও ফিজিক্যাল চ্যালেঞ্জড ক্রিকেট দল।
বিশেষ অতিথি স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী বলেন, 'আমরা দীর্ঘদিন ধরেই পুরস্কারের পৃষ্ঠপোষকতা করছি। দিন দিন এই আয়োজনের পরিধি আরও বাড়ছে। আগামীতেও আমরা এ আয়োজনে বিএসপিএর পাশে থাকব।'
লিটন দাস বলেন, 'এ রকম একটা পুরস্কার পাওয়া ভাগ্যের এবং সম্মানের। আমরা দেশের জন্যই খেলি। এরকম পুরস্কার আমাদের আরও ভালো খেলার জন্য অনুপ্রাণিত করে। দোয়া করবেন, পরেরবার যেন আরও ভালো করতে পারি; পুরস্কারের মঞ্চে আবার আসতে পারি।
সাবিনা খাতুন বলেন, 'যে কোনো পুরস্কারই আমাদের আরও ভালো করার অনুপ্রেরণা জোগায়। বিএসপিএর এই পুরস্কার পেয়ে আমি খুশি। আগামীতে আরও ভালো করার জন্য এই পুরস্কার আমাকে অনুপ্রাণিত করবে।'
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, 'এই অনুষ্ঠানে আমি আগেও এসেছি। দিন দিন এই অনুষ্ঠানের কলেবর আরও বড় হচ্ছে। জাঁকজমকপূর্ণ হচ্ছে। বিএসপিএ বাংলাদেশের ক্রীড়া সংবাদিকতাকে একটা নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে। তারা এশিয়ার ক্রীড়া সাংবাদিক সংগঠন হয়েছে। এই অর্জনে আমিও গর্বিত।'