আসরের কেবল শুরু। গ্রম্নপ পর্বের ম্যাচ। তাই হেরে গেলেও অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে এমনটাও নয়। তবে এমন ম্যাচেই কিনা বড় ঝুঁকি নিয়ে বসলেন লাজিওর গোলরক্ষক ইভান প্রোভেদেল। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে ঢুকে গেলেন প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে। এবং শেষ পর্যন্ত দলকে মূল্যবান একটি পয়েন্ট এনে দেওয়ার নায়ক এই গোলরক্ষকই।
এমন এক জমজমাট ম্যাচ হয়েছে আগের দিন রোমার স্তাদিও অলিম্পিকোতে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের 'ই' গ্রম্নপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মঙ্গলবার রাতে স্প্যানিশ ক্লাব অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে লাজিও। প্রথমার্ধে পাবলো বারিওসের গোল পিছিয়ে পড়েছিল ইতালিয়ান ক্লাবটি। শেষ মুহূর্তে গোলরক্ষক প্রোভেদেলের গোল সমতায় ফেরে তারা।
নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষে তখন যোগ করা সময়ের খেলা চলছিল। তাও প্রায় শেষ। কয়েক সেকেন্ড বাকি। এমন সময় কর্নার পায় লাজিও। তখনই প্রতিপক্ষ শিবিরে ঢুকে পড়েন গোলরক্ষক প্রোভেদেল। কর্নারও ঠিকঠাক নিতে পারেননি দানিলো কাতালদি। এক অ্যাটলেটিকো খেলোয়াড়ের ক্লিয়ারেন্সে ফিরতি বল পেয়ে পাস দেন লুইস আলবার্তোকে। তার নিখুঁত ক্রস থেকে লাফিয়ে ওঠে দারুণ এক হেডে লক্ষ্যভেদ করেন প্রোভেদেল। এ নিয়ে চতুর্থ গোলরক্ষক হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গোল করলেন এই ইতালিয়ান। এর আগে ২০০০ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে তিনটি গোল করেছিলেন সাবেক জার্মান গোলরক্ষক জর্গ বাট। তবে তার গোলের সবগুলোই ছিল পেনাল্টি থেকে। ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে নাইজেরিয়ান ভিনসেন্ট এনিয়েমাও পেনাল্টি থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গোল করেছিলেন।
তবে ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে তুরস্কের গোলরক্ষক সিনান বোলাটই একমাত্র গোলরক্ষক ছিলেন যিনি ওপেনপেস্ন থেকে একটি গোল করেছিলেন। এবার তার সঙ্গে যুক্ত হলেন প্রোভেদেল। শুধু গোল করেই নন ম্যাচে বেশ কিছু দুর্দান্ত সেভও করেছেন এই গোলরক্ষক। বিশেষ করে আলভারো মোরাতার একটি নিশ্চিত সুযোগ নষ্ট করে দেন তিনি।