বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

অপরাজিত আবাহনীর কাছে পাত্তাই পেল না শেখ জামাল

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
ডিপিএলের ম্যাচে বৃহস্পতিবার মিরপুরে শেখ জামালের বিপক্ষে উইকেট নেয়ার পর আবাহনীর খেলোয়াড়দের উচ্ছ্বাস -ওয়েবসাইট

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর কাছে কোনো পাত্তাই পায়নি শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। একপেশে এই ম্যাচে আবাহনী ১০ উইকেটে জয় পেয়েছে। চলতি ডিপিএলে এখন পর্যন্ত অপরাজিত আবাহনী। ১১ ম্যাচ খেলে সবকটিতে জয় পেয়েছে শান্তর দল। আর ১১ ম্যাচে ৮ জয় নিয়ে টেবিলের দুইয়ে রয়েছে শেখ জামাল।

টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে মাত্র ২২.৪ ওভারে মাত্র ৮৮ রানে অলআউট হয় জামাল। তাড়া করতে নেমে ১০.২ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আবাহনী। ১০০ ওভারের খেলা শেষ হয় ৩৩ ওভারে!

বৃহস্পতিবার মিরপুরে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আবাহনীর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। শরিফুল, তাসকিন ও তানভীরের বোলিং তোপে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে শেখ জামাল। মাত্র ৮৮ রানেই অলআউট হয়ে যায় শেখ জামাল।

নতুন বলে রীতিমতো আগুন ঝরালেন শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ। তাদের পেসে পুড়ে ছাই শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের ব্যাটিং লাইনআপ। দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন কেবল চার ব্যাটার। এতে তিন অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই অলআউট দল। আবাহনীর জয়ের জন্য বাকি কাজটা সহজেই সেরেছেন দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও এনামুল হক বিজয়।

শেখ জামালের ব্যাটিং ধসের শুরুটা করেন শরিফুল। দলীয় ১৭ রানে শেখ জামালের সাইফ হাসানকে তুলে নিয়ে ওপেনিং জুটি ভাঙেন তিনি। এরপর ক্রিজে নেমে মাত্র চার রান করেই ফিরে যান রবিউল ইসলাম। তাকেও তুলে নেন শরিফুল। তাসকিনের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ফজলে মাহমুদ। শেখ জামালের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান শূন্য রানে আউট হন তাসকিনের বলে শান্তর কাছে ক্যাচ দিয়ে। বাকিরা আশা-যাওয়ার মধ্যেই থাকে। শেখ জামালের হয়ে সর্বোচ্চ ২৩ রান আসে ওপেনার সৈকত আলির ব্যাট থেকে। ইয়াসির আলি করেছেন ১৭ রান।

এদিন বোলিংয়ে দুর্দান্ত ছিলেন তাসকিন-শরিফুলরা। তবে সবচেয়ে সফল ছিলেন শরিফুল। বাংলাদেশের বাঁহাতি এই পেসার সাত ওভার বোলিং করে ৩৫ রান দিয়ে নিয়েছেন চার উইকেট। তাসকিন আহমেদ পেয়েছেন ১৬ রান খরচায় দুই উইকেট। আর তানভীর ইসলাম ৪.৪ ওভার বোলিং করে মাত্র সাত রানে নিয়েছেন দুই উইকেট। বাকি

দুই উইকেট নিয়েছেন তানজিম হাসান ও মোসাদ্দেক হোসেন।

ছোট্ট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কোনো প্রকার সমস্যায় পড়তে হয়নি আবাহনীর। দুই ওপেনার বিজয় ও নাঈম মাত্র ৬২ বলেই তুলে নেন এই রান। এনামুল বিজয় ২২ বলে ৩৭ এবং মোহাম্মদ নাঈম ৪০ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন। ফলে ১০ উইকেট ও ২৩৮ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁওছে যায় আবাহনী।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে