বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২

এই আনন্দ প্রথম ট্রফি জয়ের মতো :সাবিনা খাতুন

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
এই আনন্দ প্রথম ট্রফি জয়ের মতো :সাবিনা খাতুন
সাফের ট্রফি নিয়ে উচ্ছ্বাস বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের -ওয়েবসাইট

ঢাকায় বিমানবন্দরে নেমে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে এলেন বাংলাদেশ জাতীয় নারী দলের কোচ, অধিনায়কসহ অন্যরা। কথা বলতে এসে তাদের উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মতো। জাতীয় দলের সাবিনা খাতুন টানা দ্বিতীয়বারের মতো অধিনায়ক হয়ে শিরোপা জিতেছেন। নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে এসে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেছেন, 'প্রথমেই ধন্যবাদ দিতে চাই দেশের মানুষকে যারা এই জয়ের জন্য অধীর আগ্রহী ছিলেন। সকলকে খুশি করতে পেরে, দলের সকল সদস্য ও বাফুফের সকলে অনেক আনন্দিত। সর্বপ্রথম ধন্যবাদ দিতে চাই সাবেক প্রেসিডেন্ট কাজী সালাউদ্দিন স্যার ও উইমেন্স কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট তাবিথ আওয়াল স্যার ও নতুন কমিটিকে। সকলের দোয়া ও সমর্থনে আজ এই সফলতা এসেছে।'

সাবিনা এরপরই জানান, নিজের অনুভূতির কথা, 'দ্বিতীয়বারের মতো এই আনন্দ প্রথম ট্রফি জয়ের মতোই লাগছে। এত মানুষের সমাগম প্রমাণ করে বাংলাদেশের মানুষ ফুটবলকে কতটুকু ভালোবাসে। আমাদের জন্য দোয়া করবেন। সকল কোচিং স্টাফ যারা কঠোর পরিশ্রম করেছে তাদেরকেও ধন্যবাদ জানাই।'

1

টুর্নামেন্ট সেরা গোলকিপার রুপনা চাকমা নিজের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, 'এখানে আসার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।'

জয়সূচক গোলদাতা রিতুপর্ণা চাকমা ট্রফি পেয়ে দারুণ খুশি, 'সকলকে ধন্যবাদ এখানে আসার জন্য। এই ট্রফিটা দেশবাসীকে উপহার দিতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। আপনারা আমাদের আশীর্বাদ করবেন যাতে ভবিষ্যতে আরও ভালো ট্রফি উপহার দিতে পারি।'

কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে বুধবার স্বাগতিক নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে সাফের মুকুট ধরে রাখার অভিযান সফলভাবে শেষ করেছে বাংলাদেশ। দুই বছর আগে এই একই ভেনু্যতে নেপালকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে প্রথম এই ট্রফির স্বাদ পেয়েছিল তারা।

সেবারও দলের অধিনায়ক ছিলেন সাবিনা খাতুন। এবারও অধিনায়কের আর্মব্যান্ড ছিল তার বাহুতে। তর্ক-বিতর্ক আর নানা ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে যাওয়া দলকে আগলে রাখা সাবিনা, সাফল্যের ছোট্ট প্রতিক্রিয়ায় বলেন গর্বের কথা, 'কী বলব? ভালো লাগছে। এছাড়া আর কী বলব? মেয়েরা ভালো খেলেছে বলেই চ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছি। ওদের নিয়ে আমি গর্বিত।'

গত আসরে পাদপ্রদীপের আলোয় ছিলেন না তহুরা খাতুন। এবারের আসরে দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি, ৫টি। ফাইনালে শুরুতেই একটি শট ক্রসবার না কাঁপালে গোলসংখ্যা বাড়তে পারত, কিন্তু হয়নি। ভারত ও ভুটানের বিপক্ষে দুই ম্যাচে তিনি হয়েছিলেন সেরা খেলোয়াড়।

সেরা খেলোয়াড় কিংবা সর্বোচ্চ গোলদাতা কোনো পুরস্কারই শেষ পর্যন্ত জিততে পারেননি তহুরা। কিন্তু এ নিয়ে কোনো আফসোস নেই তার। দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধ্যেই তহুরা খুঁজে নিচ্ছেন তৃপ্তি, 'শট নিয়েছিলাম, কিন্তু দুর্ভাগ্য ক্রসবারে লেগে ফিরে এলো। নেপালের একটি শটও পোস্টে লেগেছিল। গোল না হলে তো কিছু করার নেই, তবে আমি চেষ্টা করেছি। মনিকা (চাকমা) ও ঋতুপর্ণা (চাকমা) যে গোল দুটো করেছে, অসাধারণ। এই সাফল্যে সবারই অনেক অবদান ছিল, সবাই অনেক ভালো করেছে। আলহামদুলিলস্নাহ, আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছি। অনেক ভালো লাগছে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য হতে পেরে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে