শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বিপিএলে ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনের রেকর্ড

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
বিপিএলে ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনের রেকর্ড
৭ উইকেট পেয়ে উচ্ছ্বসিত দুর্বার রাজশাহীর তাসকিন আহমেদ -ওয়েবসাইট

মুখে চওড়া হাসি, হাতে বল। সেই বল দর্শকদের দিকে উঁচিয়ে ধরে মাঠ ছাড়লেন তাসকিন আহমেদ। এভাবে উদযাপন করেছেন তিনি আগেও অনেকবার। তবে এই ম্যাচে তিনি যা করলেন, বাংলাদেশের কেউ আগে কখনও করতে পারেননি। বিপিএলেও এমন কিছু আগে দেখা যায়নি। টি২০ ম্যাচে একাই নিলেন তিনি সাত উইকেট!

বিপিএলে বৃহস্পতিবার দুর্বার রাজশাহীর হয়ে ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে অসাধারণ এই পারফরম্যান্স উপহার দেন তাসকিন। তার বোলিং বিশ্লেষণ ৪-০-১৯-৭। বাংলাদেশের কোনো বোলারের টি২০ ক্রিকেটে সেরা বোলিং পারফরম্যান্স এটিই। বিপিএলেও এটি সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। বিশ্বজুড়ে বিশ ওভারের ক্রিকেটে এক ম্যাচে ৭ উইকেট শিকারের কীর্তি আছে আর কেবল দুটি। গত বছর চীনের বিপক্ষে ৮ রানে ৭ উইকেট নেওয়ার অবিশ্বাস্য নজির গড়েন মালেয়েশিয়ার পেসার সিয়াজরুল ইদ্রম্নস। ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি বস্নাস্টে লেস্টারশায়ারের হয়ে বার্মিংহ্যাম বিয়ার্সের বিপক্ষে ১৮ রানে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন কলিন আকারম্যান।

1

৪-০-১৯-৭। ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে দুর্বার রাজশাহীর পেস আক্রমণে তাসকিন আহমেদ আক্ষরিক অর্থেই হয়ে উঠেছিলেন দুর্বার। ঢাকার স্কোরবোর্ডে ১৭০ এর বেশি রান উঠলেও দিনশেষে আলোচনার কেন্দ্রে থাকবেন তাসকিনই। ১৯ রান খরচায় নিয়েছেন ৭ উইকেট।

তাতে বিপিএলের ইতিহাসে নতুন করে লেখা হলো এই পেসারের নাম। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ১১ আসরের ইতিহাসে এটাই এখন সেরা স্পেল। পেছনে ফেলেছেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমিরের ১৭ রানে ৬ উইকেট নেয়ার কীর্তিকে। নিজের দ্বিতীয় ফাইফারের দিনে তাসকিন বদলালেন ইতিহাস। সঙ্গে স্বীকৃত টি২০ এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারীও এখন তাসকিন।

যদিও এই রেকর্ডে তিনি শীর্ষে আছেন যৌথভাবে। এর আগে মালয়েশিয়ার সাজরুল ইদ্রম্নস চীনের বিপক্ষে ৮ রানের খরচায় নিয়েছিলেন ৭ উইকেট। ভাইটালিটি বস্নাস্টের ম্যাচে লেস্টারের বোলার কলিন অ্যাকারম্যান বার্মিংহামের বিপক্ষে নিয়েছিলেন ১৮ রানের খরচায় ৭ উইকেট। এদের পাশে ইতিহাসে মাত্র তৃতীয় বোলার হিসেবে এক টি২০ ইনিংসে ৭ উইকেট নেয়ার কীর্তি এখন বাংলাদেশের তাসকিন আহমেদের।

শুরুটা করেছিলেন লিটনকে দিয়ে। ৫ বলে শূন্য রান করে ক্যাচ দিয়েছিলেন ইয়াসির আলী রাব্বির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন। এরপর তাসকিন ফেরান তানজিদ হাসান তামিমকে। ঢাকার স্কোরবোর্ড এরপর সচল রেখেছিলেন শাহাদাত হোসেন দীপু। ৪০ বলে ৫০ করা দীপুকেও প্যাভিলিয়নে পাঠান এই পেসার। চতুরঙ্গ ডি সিলভা, আলাউদ্দিন বাবু আর মুকিদুল ইসলামকেও টিকতে দেননি।

এতেই তার নাম উঠে যায় বিপিএলের সেরা বোলিং ফিগারে। তবে জায়গাটা ভাগ করতে হচ্ছিল মোহাম্মদ আমিরের সঙ্গে। ইনিংস শেষের এক বল বাকি থাকতে তাসকিন নিলেন শুভাম রঞ্জানের উইকেট। তাতেই বাংলাদেশি পেসারের নামটা উঠল বিশ্বরেকর্ডের পাতায়।

তাসকিনের আগে বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ৬ উইকেট নেয়ার নজির ছিল সাকিব আল হাসানের। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল)-এর ম্যাচে ৬ রানের খরচায় নিয়েছিলেন ৬ উইকেট।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে