গত সপ্তাহে সিলেটে তামিম ইকবালের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন জাতীয় নির্বাচকরা। বৈঠক শেষে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু ইতিবাচক কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। যদিও দুই দিনের ব্যবধানে সেসবের কিছুই দেখা গেল না। তামিম চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতো দূরে থাক, দ্বিতীয় বারের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকেও না করে দিয়েছেন। শুক্রবার রাতে নিজের ফেসবুকে এক পোস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তামিম। তামিম বিদায়ের ঘোষণায় শুরুটা করেন এভাবে,'আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে আছি অনেক দিন ধরেই। সেই দূরত্ব আর ঘুচবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার অধ্যায় শেষ।'
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার জন্য অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও তামিমকে অনুরোধ করেছিলেন। সেটিও তামিম তার পোস্টে উলেস্নখ করেছেন। শনিবার দুপুরে শান্ত নিজের ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, 'প্রিয় তামিম ভাই, আপনার নেওয়া সিদ্ধান্তকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। ২০১৬ সালে আবাহনীর হয়ে প্রথমবার আপনার সঙ্গে ড্রেসিং রুম শেয়ার করা থেকে শুরু করে জাতীয় দলে একসঙ্গে খেলার সুযোগ, আপনার কাছ থেকে শিখেছি অসংখ্য কিছু। আপনার ক্রিকেটীয় মেধা, সহ-খেলোয়াড়দের প্রতি আপনার যত্নশীলতা ও উদারতা আমাকে বারবার মুগ্ধ করেছে।'
তামিমকে ড্রেসিংরুমে মিস করবেন উলেস্নখ করে শান্ত আরও লিখেছেন, 'আপনার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত অবশ্যই আপনাকে ভাবতে হয়েছে এবং সেটিকে আমি শ্রদ্ধা জানাই। তবে ড্রেসিং রুমে এবং ২২ গজে আপনার সঙ্গ আমরা ভীষণভাবে মিস করবো।'
শেষে শান্ত আরও যোগ করেছেন, 'আমি গর্বিত যে এমন এক কিংবদন্তি ব্যাটারের সঙ্গে ড্রেসিং রুম ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছি এবং জাতীয় দলে আপনার সঙ্গে খেলতে পেরেছি। দোয়া করি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায়ের সময়গুলো আনন্দময় হোক। ভালো থাকবেন, তামিম ভাই।'
২০২২ সালের জুলাইয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে আনুষ্ঠানিক অবসর নিলেও টেস্ট ও ওয়ানডে খেলার দরজা খোলা রেখেছিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তাতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাকে পাওয়ার আশা করছিল বিসিবি। তার মতামত জানতেই বুধবার তার সঙ্গে সভায় বসে নির্বাচক কমিটি। যদিও সভাতে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানান প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। দুই একদিনের মধ্যেই তার 'খেলা না খেলার' বিষয়ে জানা যাবে বলেছিলেন সাবেক এই অধিনায়ক। দুই দিন পার না হতেই নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন দেশের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার।