সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২

যত অর্জন ও কীর্তি নিয়ে থামলেন তামিম

ক্রীড়া ডেস্ক
  ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
যত অর্জন ও কীর্তি নিয়ে থামলেন তামিম

নতুন আর কোনো নাটকীয়তায় না গিয়ে আন্তর্জাতিক অধ্যায় সমাপ্ত ঘোষণা করেছেন তামিম ইকবাল। প্রায় দেড় বছর বিরতির পর আকস্মিকভাবে তাকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ফেরানোর তোড়জোড় শুরু হলে সময় চেয়েছিলেন তিনি, পরে শুক্রবার রাতে জানিয়ে দেন সমাপ্তির কথা। চূড়ান্তভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়া তামিম বাংলাদেশের হয়ে যেসব অর্জন করে গেলেন।

১. আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে তিন সংস্করণেই সেঞ্চুরি করা প্রথম ও এখন পর্যন্ত একমাত্র ব্যাটার তামিম। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওমানের বিপক্ষে সেঞ্চুরির পর এই কীর্তি গড়েন তিনি। টি২০তে তিনি ছাড়া বাংলাদেশের আর কেউ এখনো সেঞ্চুরি পাননি।

২. তিন সংস্করণ মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে ১৫ হাজার রান করেন তামিম। তার ক্যারিয়ার থামল ১৫ হাজার ১৯২ রানে। তাকে ছাড়িয়ে গেছেন অবশ্য মুশফিকুর রহিম। মুশফিকের রান ১৫ হাজার ৩০০।

৩. তিন সংস্করণ মিলিয়ে বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৫ সেঞ্চুরি তামিমের।

৪. ওয়ানডেতে তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ২৪৩ ম্যাচ খেলে করেছেন ৮ হাজার ৩৫৭ রান, তার পরে আছেন মুশফিক, যার রান ৭ হাজার ৭৯৩।

৫. ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড তামিমের (১০৩টি)। সর্বোচ্চ মাহমুদউলস্নাহর ১০৭টি। তামিম অবশ্য সবার আগে ১০০ ছক্কা মারেন। তিন সংস্করণ মিলিয়েও বাংলাদেশিদের মধ্যে ছক্কার রেকর্ডে দ্বিতীয় তামিম (১৮৮), সেখানেও মাহমুদউলস্নাহ (২০৮) সবার উপরে।

৬. ওয়ানডেতে বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়েসে সেঞ্চুরির রেকর্ড তামিমের। ২০০৮ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯ বছর ২ দিনে সেঞ্চুরি করেন তামিম।

৭. ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে একাধিক দেড়শো ছাড়ানো ইনিংস আছে একমাত্র ব্যাটসম্যান তামিমের। ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তার ১৫৪ রান করে দেশের ব্যাটারদের মধ্যে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড গড়েছিলেন। ১১ বছর রেকর্ড অক্ষুণ্‌ণ রাখার পর ২০২০ সালে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলেন ১৫৮ রানের ইনিংস। পরের ম্যাচেই অবশ্য লিটন দাস ১৭৬ রানের ইনিংস খেলে তাকে ছাড়িয়ে নতুন রেকর্ড গড়েন।

৮. টেস্টে ইমরুল কায়েসের সঙ্গে ৩১২ রানের উদ্বোধনী জুটিতে রেকর্ড গড়েন তামিম। যা এখনো বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটির রেকর্ড। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংস এসেছিল এই জুটি। দ্বিতীয় ইনিংসে ওপেনিং জুটির সব মিলিয়ে রেকর্ডও সেটি।

৯. আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩৬ বার শূন্য রানে আউটের বিব্রতকর রেকর্ডও তার।

১০. ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে ৩৭ ম্যাচে নেতৃত্ব দেন তামিম। এরমধ্যে ২১ জয় নিয়ে তার সাফল্যের হার ৬০ শতাংশ। বাংলাদেশি অধিনায়কদের মধ্যে যা এখনো সেরা।

১১. উইকেটকিপার ছাড়া বাংলাদেশের হয়ে তিন সংস্করণে চারজন ফিল্ডার নিয়েছেন একশোর বেশি ক্যাচ। তার একজন তামিম। তামিমের ক্যাচ সংখ্যা ১০৬টি, সৌম্য সরকার ১১২, সাকিব আল হাসান ১২০ ও মাহমুদউলস্নাহ ১৭২টি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে