ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে জমজমাট আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) মানেই বিতর্ক আর অসংলগ্নতার ছড়াছড়ি। বিতর্ক যেন বিপিএলের আরেক নাম। বিশেষ করে পারিশ্রমিক নিয়ে প্রতি আসওে কোনো না কোনো ঘটনা স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে!

আর তাইতো দায়িত্ব গ্রহণের পর বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ ঘোষণা দিয়েছিলেন, পারিশ্রমিক নিয়ে ক্রিকেটারদের অসন্তোষ আর দেখা যাবে না। কিন্তু বাস্তবে তেমনটা হয়নি। চট্টগ্রাম পর্ব শুরুর আগে পারিশ্রমিক না পেয়ে অনুশীলন বর্জন করেছেন দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটাররা।

ঢাকা ও সিলেটের পর এবার বন্দরনগরী চট্টগ্রামে মাঠে গড়ানোর অপেক্ষায় বিপিএল। চট্টগ্রাম পর্ব সামনে রেখে বুধবার চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুশীলন করার কথা ছিল দুর্বার রাজশাহীর। দলটির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে এমনটাই জানানো হয়েছিল। তবে হঠাৎ করেই সেই অনুশীলন বাতিল হয়ে গেছে। বুধবার সকাল ১০ টা থেকে অনুশীলন করার কথা ছিল রাজশাহীর।

তবে সকাল পৌনে এগারোটার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আজকের (বুধবার) অনুশীলন বাতিল করা হয়েছে। হঠাৎ করে কেন অনুশীলন বাতিল করা হলো, খুঁজতে গিয়ে জানা গেল ভিন্ন কারণ। পারিশ্রমিক বকেয়া থাকায় অনুশীলন বয়কট করেছেন ক্রিকেটারা।

যদিও মঙ্গলবার রাত সোয়া ১১টায় দুর্বার রাজশাহী তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, বুধবার সকাল ১০টা থেকে চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুশীলন করবেন তারা। অনুশীলন শুরু করার নির্দিষ্ট সময়ের ঠিক ১০-১২ মিনিট আগে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দুর্বার রাজশাহী তাদের অনুশীলন বাতিল করেছে। টিম ম্যানেজমেন্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আজ তারা বিশ্রামে থেকেই দিনটা পার করবে।

কিন্তু ম্যানেজমেন্ট থেকে এমনটা জানানো হলেও আসল ঘটনা ভিন্ন। স্থানীয় ক্রিকেটারদের এখনো কোনো পারিশ্রমিক পরিশোধ করেনি দুর্বার রাজশাহী ফ্র্যাঞ্চাইজি স্বত্বাধিকারী। বিদেশি কয়েকজন ক্রিকেটার ২৫ শতাংশ পারিশ্রমিক পেয়েছেন। দুই/একজন স্থানীয় ক্রিকেটার ২৫ শতাংশ টাকা পেলেও বাকিদের কেউই তা পাননি। ক্রিকেটারদের দাবির প্রেক্ষিতে রাজশাহীর টিম ম্যানেজমেন্ট স্থানীয় ক্রিকেটারদের ২৫ শতাংশ পারিশ্রমিকের চেক দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই চেক বাউন্স হওয়ায় অনুশীলন বর্জন করেছেন রাজশাহীর ক্রিকেটাররা।

ফ্র্যাঞ্চাইজিটির স্কোয়াডে থাকা এক ক্রিকেটার সংবাদ মাধ্যমকে জানান, বিপিএল মাঝপথে চলে এলেও এখনো কোনো টাকা পাননি। যে কারণে অনুশীলন বাতিলের মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। রাজশাহীর টিম ম্যানেজার মেহেরাব অপির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। যদিও ম্যানেজমেন্টের তরফে আচমকা অনুশীলন পন্ড হওয়ার ব্যাখ্যায় বিশ্রামের কথা বলা হচ্ছে।

চলতি বিপিএল মাঠে গড়ানোর আগে থেকেই আলোচনায় পারিশ্রমিক ইসু্য। টুর্নামেন্টের মাঝপথে এসেও বিষয়টির সুরাহা হয়নি। যদিও বিসিবি থেকে বারবার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, দ্রম্নতই তারা বিষয়টির মীমাংসা করবেন। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে কিছুটা সময় দেওয়ার পক্ষে ছিলেন তারা।