শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
সাপ্তাহিক শেয়ারবাজার

বাজার মূলধন কমেছে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে

গেল সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫ হাজার ৪৪৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫ হাজার ৫২১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৭৭ দশমিক ৮ শতাংশ। ডিএসইতে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৮৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা
যাযাদি রিপোর্ট
  ১০ জুন ২০২৩, ০০:০০

বিদায়ী সপ্তাহে অর্থাৎ ৪ থেকে ৮ জুন পর্যন্ত দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সব ধরনের সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। কমেছে শেয়ারবাজারে মূলধনের পরিমাণ। আগের সপ্তাহের তুলনায় গেল সপ্তাহে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণ আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। বেড়েছে প্রধান সূচক সিএএসপিআই। কিন্তু কমেছে বাজার মূলধন পরিমাণ।

ডিএসইর সূত্রমতে, সপ্তাহটিতে লেনদেন হয়েছে ৫ হাজার ৪৪৪ কোটি টাকা। যার মোট লেনদেনের ২৫ শতাংশই টপটেন বা দশ কোম্পানির দখলে রয়েছে। ওই দশ কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩৭৯ কোটি টাকা।

স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রমতে, গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৬৮৮ কোটি ২৮ লাখ টাকায়। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৭৪ হাজার ২৮১ কোটি ২৬ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৫৯২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

গেল সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫ হাজার ৪৪৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫ হাজার ৫২১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৭৭ দশমিক ৮ শতাংশ। ডিএসইতে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৮৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে গড়ে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১০৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা। গেল সপ্তাহে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৪০২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৬৯টির, দর কমেছে ১১৪টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২০৮টি কোম্পানির। লেনদেন হয়নি ১১টি কোম্পানির শেয়ার।

সপ্তাহে সব ধরনের সূচক উত্থানে লেনদেন শেষ হয়। এক সপ্তাহে ব্যবধানে ডিএসইএক্স ২ দশমিক ৭১ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৬ হাজার ৩৫২ দশমিক ৮৪ পয়েন্টে। এ ছাড়া ডিএসই৩০ সূচক ৮ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট এবং শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ১ দশমিক ১৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় যথাক্রমে ২ হাজার ১৯২ দশমিক ৮৯ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৭৮ দশমিক ৪৩ পয়েন্টে।

এদিকে গেল সপ্তাহের শেষে ডিএসইর পিই রেশিও অবস্থান করে ১৪ দশমিক ৪৭ পয়েন্টে। আগের সপ্তাহের শেষে পিই রেশিও দাঁড়িয়েছিল ১৪ দশমিক ৫২ পয়েন্ট ছিল। গেল সপ্তাহে এ ক্যাটাগরির ৭০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে। বাকি এ ক্যাটাগরির ৩০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে।

মোট লেনদেনের ২৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ শেয়ার ১০ কোম্পানির দখলে রয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে মেঘনা লাইফ ইন্সু্যরেন্সের শেয়ারে। কোম্পানিটি একাই মোট শেয়ারের ৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ লেনদেন করেছে। এ ছাড়া ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের ৪ দশমিক ৩০ শতাংশ, রূপালী লাইফের ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ, রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুডের ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ, নাভানা ফার্মার ২ দশমিক ১৪ শতাংশ, জেমিনি সি ফুডের ১ দশমিক ৯১ শতাংশ, অগ্নি সিস্টেমসের ১ দশমিক ৮৭ শতাংশ, আইটিসির ১ দশমিক ৮৪ শতাংশ, সি পার্ল বিচের ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং আমরা নেটওয়ার্কসের ১ দশমিক ৬৯ শতাংশের শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

সিএসইর সূত্রমতে, বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গত বৃহস্পতিবার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯৭৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকায়। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৫৯ হাজার ৩০০ কোটি ৪৩ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৩২১ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

গত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৯৯ কোটি ২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৮১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ১৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা। তালিকাভুক্ত ৩০৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৬৯টির, দর কমেছে ৯৪টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪৪টি কোম্পানির।

প্রধান সূচক সিএএসপিআই উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সিএএসপিআই দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৭৬২ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে। এ ছাড়া সিএসইসিএক্স সূচক দশমিক শূন্য ১ শতাংশ এবং সিএসই এসএমইএক্স ৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে ১১ হাজার ২২০ দশমিক ৯৩ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৭৬৩ দশমিক ৩২ পয়েন্টে। সিএসই৫০ সূচক দশমিক ৪০ শতাংশ, সিএসই৩০ সূচক দশমিক ১৩ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ কমে দাঁড়ায় যথাক্রমে ১ হাজার ৩১৪ দশমিক ১০ পয়েন্টে, ১ হাজার ৩৮৭ দশমিক ৭৫ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৭৭ দশমিক ৬৪ পয়েন্টে।

গেল সপ্তাহে এ ক্যাটাগরির ৮০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে। এ ছাড়া বি ক্যাটাগরির ১০ শতাংশ এবং এন ক্যাটাগরির ১০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলসের শেয়ার। একাই ৭ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে।

এ ছাড়া এডিএন টেলিকমের ৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, বেক্সিমকোর ৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের ৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, সিমটেক্সের ৩ কোটি ৭ লাখ টাকা, রূপালী লাইফের ৩ কোটি ৩ লাখ টাকা, রংপুর ডেইরী এন্ড ফুডের (বি ক্যাটাগরি) ২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, আইডিএলসি ফাইন্যান্সের ২ কোটি ৪৪ লাক টাকা, বার্জার পেইন্টসের ২ কোটি ১৪ লাখ টাকা এবং মিডল্যান্ড ব্যাংকের (এন ক্যাটাগরি) ২ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে