আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে লম্বা সময় ধরেই উত্তোলন কমাচ্ছে ওপেক পস্নাসভুক্ত দেশগুলো। সর্বশেষ গত নভেম্বরে নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এ বছরের প্রথম প্রান্তিক শেষে বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় উত্তোলন কমানোর নীতি থেকে সরে আসার কথা ছিল জোটটির। তবে সম্প্রতি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জোটের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ বছরের শেষ নাগাদ উত্তোলন কমানোর সময়সীমা বাড়াতে পারে ওপেক পস্নাস।
এদিকে এ খবর প্রকাশ হওয়ার পর বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১ ডলারের বেশি বেড়েছে। আইসিই ফিউচার ইউরোপে পণ্যটির আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম ব্যারেলপ্রতি ১ ডলার ১২ সেন্ট বা ১ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি ব্যারেলের মূল্য স্থির হয়েছে ৮৩ ডলার ৬৫ সেন্টে। অন্যদিকে মার্কিন বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডবিস্নউটিআই) দাম ১ ডলার ২৯ সেন্ট বা ১ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ৭৮ ডলার ৮৭ সেন্টে পৌঁছেছে।
ওপেক পস্নাসের একটি সূত্র জানায়, এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত উত্তোলন কমানোর নীতি বহাল রাখার বিষয়টি অনেকটাই নিশ্চিত। পরিস্থিতি অনুযায়ী, চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত উত্তোলন কমানো হতে পারে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ওপেক পস্নাসের উত্তোলন কমানোর ধারা অব্যাহত রাখার বিষয়টি অনেকটাই অনুমেয় ছিল। কারণ বিশ্ববাজারে সরবরাহ ক্রমেই বাড়ছে। তার ওপর আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থাসহ বিভিন্ন বাজার পর্যবেক্ষক পণ্যটির চাহিদা প্রবৃদ্ধির গতি শ্লথ হয়ে আসার পূর্বাভাস দিচ্ছেন। ফলে আগামী দিনগুলোয় জ্বালানি তেলের দামে নিম্নমুখী প্রবণতা থাকবে বলে মনে করছেন তারা। এমন বাস্তবতায় দাম বাড়ানোর উদ্দেশ্যে উত্তোলন কমানোর ধারা অব্যাহত রাখবে ওপেক পস্নাস।