দেশের জাতীয় রিজার্ভ ও প্রধান আয়ের উৎস প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। সেই রেমিট্যান্স আহরণে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে জনশক্তি রপ্তানি তথা প্রবাসী প্রেরণের অন্যতম কারিগর হলেন জনশক্তি রপ্তানির এজেন্ট বা রিক্রুটিং এজেন্সি। রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স দিয়ে থাকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ বু্যরো। এ পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার রিক্রুটিং লাইসেন্স দিয়েছে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ বু্যরো, যার মধ্যে প্রায় ৫ থেকে ৬শ' প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কারণে কাজ করছে না আবার লাইসেন্স সমর্পণও করছে না।
এতে সরকারের?ও লাভ আছে, কারণ সরকারের কাছে তাদের গ্যারান্টি বাবদ ডিপোজিট জমা আছে।
দেশের জনশক্তি রপ্তানি করতে লাইসেন্সের জন্য অনেক উদ্যোক্তা জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ বু্যরোতে (বিএমইটি) আবেদন করেন। নতুন উদ্যোক্তাদের এই আবেদন বিএম?ইটি যাচাই-বাছাই করে, সংশ্লিষ্ট যাবতীয় শর্তাবলি সঠিকভাবে পালন করায় বিএম?ইটি নিয়ম অনুযায়ী প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য বিভিন্ন ধাপে প্রায় ৪৮০টি আবেদন পাঠায়। দীর্ঘ প্রায় ২ বছর মন্ত্রণালয় উক্ত ৪৮০টি লাইসেন্সের আবেদন মঞ্জুর না করায় নতুন উদ্যোক্তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, দেশ?ও বঞ্চিত হচ্ছে প্রবাসী আয় বৃদ্ধি থেকে।
গত ২৯ অক্টোবর রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য আবেদনকারী নতুন উদ্যোক্তারা এক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ও নিজেদের ক্ষতিগ্রস্ত হ?ওয়ার কথা বিস্তারিত তুলে ধরে নতুন লাইসেন্সগুলোর আবেদন মঞ্জুর করার জন্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সচিবের সুদৃষ্টি কামনা করেন। এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন এআইটিআই ইন্টারন্যাশনাল'র আহ্বায়ক মো. নূরুল ইসলাম। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় নতুন ৪৮০টি লাইসেন্স অনুমোদন করলে নতুন উদ্যোক্তারা ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনশক্তি রপ্তানি করে দেশের জাতীয় রিজার্ভ বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারবে, সরকারের রাজস্বে প্রায় ১১২ কোটি টাকা জমা হবে, দেশের অসংখ্য মানুষের বিদেশে কর্মসংস্থান হবে।? তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় উক্ত বিষয়ে জরুরিভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে ক্ষতিগ্রস্ত নতুন উদ্যোক্তারা আশা করেন।
আলোচনা শেষে বৈষম্যের শিকার রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকরা একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেন। কমিটির আহ্বায়ক মো. নূরুল ইসলাম, এআইটিআই ইন্টারন্যাশনাল; যুগ্ম-আহ্বায়ক সৈয়দ আমজাদ হোসেন, বে-স্টার ওভারসিজ; সদস্য সচিব মো. মিজানূর রহমান, ওয়াইসিসি ইন্টার কন্টিনেন্টাল; যুগ্ম সচিব মো. রাশিদুল ইসলাম, প্রমিস এমপস্নয়মেন্ট লি.; সদস্য রাজিব আহম্মেদ, আল রাজিব ওভারসিজ; আক্তার হোসেন, ওয়ারি ওভারসিজ; আক্কাস উদ্দীন, আল আক্কাস ওভারসিজ; নসুরাত তামান্না, তামান্না ট্রাস্ট ওভারসিজ; মো. হেলার উদ্দীন, পানাম ওভারসিজ; আরিফ বিলস্নাহ, মাবরুব ওভারসিজ এবং নূরুজ্জামান, আল নুজাহহাত ওভারসিজ।