বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

২০২৫ সালে অস্থিতিশীল থাকতে পারে বৈশ্বিক পণ্যবাজার

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
  ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
২০২৫ সালে অস্থিতিশীল থাকতে পারে বৈশ্বিক পণ্যবাজার
২০২৫ সালে অস্থিতিশীল থাকতে পারে বৈশ্বিক পণ্যবাজার

ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া এবং চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ধীরগতি আগামী বছর বৈশ্বিক পণ্য বাজারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া এবং চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ধীরগতি আগামী বছর বৈশ্বিক পণ্য বাজারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি ঠিক কীভাবে কাজ করবে তার নির্দিষ্ট কোনো মডেল নেই। তবে ২০২৫ সালে বৈশ্বিক পণ্যবাজারে অস্থিতিশীলতা দেখা যাবে বলে ধারণা করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।

এ সময় বিপরীতমুখী অনেক প্রভাবক একসঙ্গে কাজ করতে পারে। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। রয়টার্স জানায়, বাজারে অনেক প্রভাবক একসঙ্গে ভূমিকা পালন করতে পারে, এমন আশঙ্কায় অপরিশোধিত জ্বালানি তেল, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি), আকরিক লোহা, তামা ও অন্যান্য ধাতুর মতো প্রধান পণ্যের মূল্য নিয়ে পূর্বাভাস দেয়া ২০২৫ সালে আরো জটিল হয়ে উঠবে।

1

ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার প্রতিশ্রুতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল শুল্ক আরোপ। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, তিনি যদি চীনের ওপর ৬০ ও অন্যান্য দেশের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন, তাহলে এটি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। এছাড়া এতে বাণিজ্যিক প্রবাহ পরিবর্তনসহ মূল্যস্ফীতি বাড়বে। অন্যদিকে কঠোর মুদ্রানীতিও গ্রহণ করতে পারে অনেক দেশ।

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আমদানিতে শুল্ক আরোপ করলে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। জ্বালানি তেল, আকরিক লোহা ও এলএনজির মতো পণ্যের ওপর নিম্নমুখী চাপ তৈরি হতে পারে।

তবে একই সঙ্গে শুল্কের হুমকিগুলো শুধু আলোচনার কৌশল হতে পারে। রয়টার্স বলছে, ট্রাম্প অন্যান্য দেশের সঙ্গে চুক্তি থেকে যথেষ্ট 'সাফল্য' পেলে '?ক্ষতিকারক নীতিগত পদক্ষেপ' নেয়া থেকে বিরত থাকতে পারেন।

বৈশ্বিক অর্থনীতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত তামা ও আকরিক লোহার মতো ধাতবপণ্যের বাজার। এসব ধাতবপণ্যের ব্যবসায়ীরা 'ওয়েট অ্যান্ড সি' নীতি গ্রহণ করতে পারেন। রয়টার্সের মতে, যথাযথ নীতি গ্রহণের আগ পর্যন্ত এসব ধাতবপণ্যের বাজারে মূল্য অস্থিতিশীলতা একটি সাধারণ প্রবণতা হতে পারে।

অনেকে বলছেন, চীন বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ মোকাবেলায় ২০১৮ সালের তুলনায় কম প্রস্তুত। তবে বাণিজ্যযুদ্ধ মোকাবেলায় দেশটির হাতে যথেষ্ট সুযোগ আছে বলে মনে করছেন অনেক বিশ্লেষক।

তারা বলছেন, চীন যদি সরবরাহ শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এছাড়া এটি বিপুল পরিমাণ মার্কিন ট্রেজারি বিক্রি করতে পারে। নিজস্ব মুদ্রার মান হ্রাস অথবা প্রণোদনা ব্যয় বাড়িয়ে বাণিজ্যযুদ্ধ মোকাবেলা করতে পারে। এছাড়া নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রযুক্তি ও ইনস্টলেশনে নেতৃত্ব বাড়াতে পারে দেশটি। তারা আরো জানান, চীন মার্কিন বাজারে প্রবেশাধিকার হারানোর ক্ষতিপূরণ করতে ইউরোপ ও '?গেস্নাবাল সাউথের' দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে পারে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে