দেশের ১৯টি সম্ভাবনাময় খাতে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) আকর্ষণে হিটম্যাপ উন্মোচন করেছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিডা হিটম্যাপটি প্রকাশ্যে আনে যা ভবিষ্যৎ বিনিয়োগের প্রচারে কৌশলগত দিকনির্দেশনা প্রদান করবে।
এফডিআই হিটম্যাপে ১৯টি খাতকে বাজার প্রস্তুতি ও সম্ভাবনা, ইনপুট ফ্যাক্টরের প্রাপ্যতা, জাতীয় লক্ষ্য (এসডিজি ও ইএসজি)- এই তিনটি প্রধান মানদন্ডের ভিত্তিতে তিনটি ক্যাটাগরিতে শ্রেণিবদ্ধ করেছে বিডা। ক্যাটাগরি 'এ' কে বলা হচ্ছে 'তাৎক্ষণিক লক্ষ্য', যা উচ্চ বাজার প্রস্তুতি, দ্রম্নত প্রবৃদ্ধি এবং অনন্য প্রতিযোগিতামূলক সুবিধাসম্পন্ন খাত। এই ক্যাটাগরিতে আছে কোর অ্যাপারেল, ফার্মাসিউটিক্যালস (এপিআই ছাড়া), কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, আইটি-সক্ষম সেবা, উন্নত টেক্সটাইল এবং নবায়নযোগ্য শক্তি খাত।
ক্যাটাগরি 'বি' হলো দ্রম্নত প্রবেশযোগ্য খাত, এতে মধ্যম মানের বাজার প্রস্তুতি অন্তর্ভুক্ত থাকলেও এটি শক্তিশালী প্রতিযোগিতামূলক সুবিধাসম্পন্ন খাত। অটোমোটিভ পার্টস, ফুটওয়্যার, হালকা প্রকৌশল ও চামড়া খাত এই ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত।ক্যাটাগরি 'সি' তে রয়েছে লজিস্টিকস এবং ইলেকট্রনিকস ও অ্যাসেম্বলি খাত। উন্নয়ন সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও এই খাতে ইনপুট চ্যালেঞ্জ সমাধানে বিশেষ চুক্তি প্রয়োজন বলে উলেস্নখ করা হয়েছে।
এ ছাড়া, নীতি ও সক্ষমতা উন্নয়ন, দীর্ঘমেয়াদি নীতিগত সহায়তা এবং ইকোসিস্টেম উন্নয়নের প্রয়োজনীয় খাত যথা: ইভি ব্যাটারি, মেডিক্যাল ডিভাইস, টেকনিক্যাল টেক্সটাইল, খেলনা, অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্টস (এপিআই), সেমিকন্ডাক্টর ও পস্নাস্টিক খাত রয়েছে ডি ক্যাটাগরিত।
এফডিআই হিটম্যাপের কার্যকারিতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ ফোরাম, রোড শো এবং নীতি উন্নয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে বিডা। এর পাশাপাশি একটি পাবলিক-প্রাইভেট উপদেষ্টা কাউন্সিল গঠন করে নীতিগত ঘাটতি পূরণ এবং ইকোসিস্টেম শক্তিশালীকরণের কাজও করবে তারা।