বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মৌলভীবাজারে পাউবো'র ভূমি অধিগ্রহণ, বাঁধ নির্মাণ ও ব্লক বসানো কাজ চলছে 

স্টাফ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার
  ০১ জুন ২০২৩, ১৭:৩৮

মৌলভীবাজারে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ( বাপাউবো) এর ৯শ ৯৬ কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। কাজ গুলোর মধ্যে রয়েছে ৮৮৬ কোটি টাকা মুল্যে জেলার কুলাউড়া, রাজনগর ও মৌলভীবাজার শহর দিয়ে ঘেঁষে যাওয়া মনূ নদের ৩৫ কিলোমিটার জায়গায় ব্লক বসানোর কাজ, ৮৫ কিলোমিটার বাঁধ উচূ ও চওড়া করা, নদের ১২ কিলোমিটার জায়গায় চর অপসারন ও নদী ভাঙ্গন থেকে মৌলভীবাজার শহরকে রক্ষা করতে শহরের আড়াই কিলোমিটার জায়গায় ফ্লাড ওয়াল নির্মাণের কাজ। অবশিষ্ট ১৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে চলছে ভূমি অধিগ্রহণের কাজ। মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে।

৪৯ টি প্যাকেজের ৬৬টি জায়গায় ব্লক বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। ২০২১ সালে কাজ শুরু হয়ে ২০২৩ সালে শেষ হবার কথা থাকলেও সময়মত এ দুটি কাজ শেষ করতে না পারায় কাজের মেয়াদ আরও ১ বছর বৃদ্ধি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে পুরো কাজটি শেষ হবে আগামী ২০২৪ সালের জুন মাসে।

পাউবো আরও জানায়, ৬শ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্লকের ৪৯ টি প্যাকেজের কাজ সম্পন্ন করতে ৩৫জন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। ৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে মনূ নদ পাড় ঘেঁষে ৮৫ কিলোমিটার বাধঁ উচু ও চওড়ার কাজ শুরু হয়েছে । এর মধ্যে ১৬ কিলোমিটার জায়গার কাজ শেষ হয়েছে।

ব্লকের কাজের জায়গাগুলো হলো মনূ নদ'র সদর উপজেলার সম্পাসী, মীরপুর, বলিয়ারবাগ,পালপুর, মাতারকাপন,বাশঁতলা জেলা শহরের কুসুমবাগ, রাজনগর উপজেলার তারাপাশা, কোনাগাঁও, খাস প্রেমনগর, কুলাউড়া উপজেলার দত্তগ্রাম রনচাপ, সুলতানপুর, দাউদপুর, কটারকোনা।

মনূ নদ-এ বাঁধ তৈরি ও চওড়া কাজের ৮টি প্যাকেজের জায়গাগুলো হলো- সদর উপজেলার মাতারকাপন, আমুয়া, রাজনগর উপজেলার প্রেমনগর, কুলাউড়া উপজেলার কটারকোনা ও রনচাপ এলাকা।

বাপাউবো আরও জানায়, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধিনে ভুমি অধিগ্রহণের জন্য রাজনগর উপজেলায় ৭১ একর জমির অনুমোদন পেয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় তারা অনুমোদন পেয়েছেন আরও ৩৪ একর জমি।এসব জমি ঠিকঠাক হয়ে পাউবোর হাতে পৌছাতে জেলা প্রশাসন থেকে ৪ ধারার নোটিশ দেয়া হয়েছে।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জাবেদ ইকবাল বুধবার যায়যায়দিনকে বলেন, ব্লক ও বাঁধ তৈরি,চর অপসারণ, ফ্লাড ওয়াল নির্মাণ ও ভূমি অধিগ্রহণ করতে ৯শ ৯৬ কোটি টাকা মুল্যের কাজ চলমান রয়েছে।

এর মধ্যে ১৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে ভূমি অধিগ্রহণ ও ৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে মনূ নদ পাড় ঘেঁষে ৮৫ কিলোমিটার বাধঁ উচু ও চওড়ার কাজ শুরু হয়েছে । আমরা ১৬ কিলোমিটার জায়গার কাজ শেষ করেছি। সব মিলিয়ে ৩৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। সময়মত ব্লক ও বাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ হবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে ওই নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, ভূমি অধিগ্রহণ খাতে যে অর্থ বরাদ্দ আসা জরুরি, তা ঠিকমত এসে পৌছায়নি। নদ পাড়ের মানুষের হাতে টাকা পৌঁছালে অধিকাংশ অধিগ্রহণ ত্বরান্বিত হবে। ভুমি অধিগ্রহণ না হলে ব্লক বসানোর কাজ করতেও বিলম্ব হবে।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে