দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ্মীপুর শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি জীর্ণশীর্ণ অবস্থা পড়ে থাকায়। সৃষ্টি হয়েছে বড়-বড় গর্ত। পানি জমে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। যার ফলে প্রতিদিন ছোট-বড় দুর্ঘটনা পড়তে হয় যাত্রীদের। দুর্ভোগ ছিল নিত্যদিনের। কিন্তু বিন্দুমাত্র টনক দেখা যায়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
অবশেষে রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৯ টার দিকে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক জেলা যুবলীগের সভাপতি এ.কে.এম সালাহ্ উদ্দিন টিপু ইট ভর্তি পিক-আপ নিয়ে 'জীর্ণশীর্ণ সড়কটি' সংস্কার করতে দেখা যায়।
এর-আগে টিপুর বড়-ভাই আফতাব উদ্দিন বিপ্লব তার ফেইসবুক একাউন্ট থেকে একটি লাইভ করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সুদৃষ্টি পড়ার জন্য। এছাড়া প্রতিদিন কেউ না কেউ। দ্রুত রাস্তা সংস্কার করার জন্য তাদের ফেইসবুক একাউন্টে পোস্ট করে থাকেন।
সালাহ্ উদ্দিন টিপু ও আফতাব উদ্দিন বিপ্লব প্রয়াত লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব আবু তাহের সন্তান। তাদের বাবা জীবদ্দশায় কখনো পৌরবাসীকে এভাবে ভোগান্তিতে চলাচল করতে দেননি। সবসময় তাদের বাবা চেষ্টা করছেন, পৌরসভাবাসিকে চলাচলের উপযোগী সড়ক রাখতে এমনটাই দাবি টিপু-বিপ্লবের।
রাত ৯টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত টিপু তার যুবলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রাস্তা মেরামত কাজ করেন। শহরের উত্তর তেমুহনী বঙ্গবন্ধু চত্বর থেকে বাজার সড়কের প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকার বড় বড় গর্ত ভরাট করেন। একইসময় জীর্ণশীর্ণ সড়কে ইট-বালু দিয়ে রোলার করে চলাচলের উপযোগী করে তোলেন। এতে দীর্ঘদিনের দুর্দশা থেকে মুক্তি মিলেছে বলে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন শত-শত পথচারী।
রাস্তা মেরামতস্থলে উপস্থিত কয়েকজন বলেন, একটি উদ্যোগ শহর বাসীর কষ্ট কমানোর পাশাপাশি অন্য মানুষদেরও ভালো কাজে উদ্বুদ্ধ করবে। আওয়ামী লীগের কাছ থেকে মানুষ এমন কাজই আশা করে। রাস্তা সংস্কার করাই আমরা খুব খুশি।
পথচারী রাছেল, ভ্যান চালক মোরশেদ ও ব্যবসায়ী বাবলু বলেন- দীর্ঘদিন পর রাস্তা সংস্কার করছে। অনেক ভালো লাগছে। একটি ব্যস্ততম রাস্তার বেহাল অবস্থা ছিল। সামান্য বৃষ্টি এলে গর্তে পানি জমে থাকে। এতে অনেক কষ্ট হয় আমাদের। আর কতদিন লাগবে আমাদের এ রাস্তা ঠিক করতে? ২ কিলোমিটার রাস্তা ঠিক করতে, যদি ২ বছর লাগে তাহলে সেই রাস্তা ঠিক না করাই ভালো। আমরা টিপু ভাইর জন্য দোয়া করবো। রাস্তা টা সংস্কার করার জন্য।
জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন টিপু আক্ষেপ প্রকাশ করে জানান, রাস্তা মেরামতের নামে যাহ হচ্ছে, এটি সবাই জানে। আমার বেশিকিছু বলার নেই। তবে দীর্ঘদিন তার বাবা পৌরবাসীর সেবা করছে। ও-ই সুবাদ পৌরসভার বাসিন্দা ও যাত্রীদের কথা চিন্তা করে বড়-বড় গর্তগুলো সংস্কার করছেন এমনটাই দাবি টিপুর।
এ সড়কটি মেরামত করা খুবই জরুরি ছিল। শহর বাসীর কষ্ট লাঘব করার জন্য কাজটি করছি।
উল্লেখ্য: লক্ষ্মীপুর শহর প্রশস্তের নামে ২ বছর শহরের দক্ষিণ তেমুহনী থেকে ঝুমুর সিনেমা হল এলাকা ও দক্ষিণ তেমুহনী থেকে চকবাজার এলাকা হয়ে উত্তর তেমুহনী এলাকা পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার সড়কটির জীর্ণশীর্ণ দশা। ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে ধীর গতিতে চলছে রাস্তার কাজ। এজন্য দুর্ভোগে পড়তে হয় জনগণকে।
যাযাদি/ এস