পটুয়াখালী আউলিয়াপুরে বসতবাড়ি থেকে মূল্যবান জিনিস পত্র চুরি এবং ওই বাড়ির এক শিশুকে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। সোমবার রাতভর অভিযান চালিয়ে শিশু রাতুলের(১০) মরদেহ এবং চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই আসামি কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতার হওয়া আসামীরা হচ্ছেন আউলিয়াপুর ইউনিয়নেন ৫নং ওয়ার্ড এর মফেজ মাতুব্বর এর পুত্র মোঃ আনোয়ার হোসেন (৪৫) এবং জৈনকাঠী ইউনিয়নের সেহাকাঠী গ্রামের এনছান হাওলাদারের পুত্র
মঙ্গলবার দুপুরে পটুয়াখালী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রফিং এ পুলিশ সুপার মোঃ সাইদুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার আসামীদের আসামী বরাত দিয়ে জানান, গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে সদর থানার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের ছোট আউলিয়াপুর গ্রামে লিটন ঘরামীর বসতঘর সংলগ্ন ডেকরেটরে চুরির ঘটনা ঘটে। চোর চক্র আগ থেকেই লিটন ঘরামীর ছেলে রাতুলকে সাইকেলক্রয়ের জন্য ১৪,০০০/-টাকা লোভ দেখিয়ে পূর্ব পরিকল্পনামতে ছেলে রাতুলের মাধ্যমে ঘুমের ঔষধ/চেতনা নাশক ঔষধ তাদের খাবারে মিশিয়ে তার বাবা, মা ও দাদীকে অচেতন করে গভীর রাতে ঘরের পিছনের দরজা দিয়ে প্রবেশ করে সামনের দরজা খুলে ঘর সংলগ্ন মালামালের ডেকোরেটর দোকান হতে সাউন্ড সিস্টেমের বিভিন্ন দামী সরঞ্জামাদি, অটোরিক্সার ব্যাটারী চুরি করে। পরবর্তীতে ঘটনা যাতে জানাজানি না হয় সে জন্য ঘটনার একমাত্র সাক্ষী ভিকটিম শিশু রাতুলকে ঐদিন রাতেই তাদের নিজ গৃহে মুখ চেপে ধরে গলাটিপে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরবর্তীতে হত্যাকান্ড ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য ভিকটিমের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে আউলিয়াপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডস্থ পূর্ব আউলিয়াপুর সাকিনের জনৈক মোঃ জয়নাল বিশ্বাস এর বাড়ীর পিছনে পরিত্যক্ত টিনসেড ইটের ওয়াল ঘরের কাঁচা মেঝের পশ্চিম দক্ষিণ কোনে ০৫ ফুট মাটির গভীরে লাশের গায়ে লবণ দিয়ে পলিথিনে মুড়িয়ে মাটি চাপা দিয়ে রাখেন। আসামীদের দেয়া তথ্যমতে চোরাইকৃত মালামাল ০২ নং আসামী মোঃ হানিফ হাওলাদার (৪১) এর বসত ঘরের পিছনে রান্না ঘরের মাটির নিচ হতে সাউন্ড সিস্টেমের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি এবং বসত ঘরের পিছনে ডোবা হতে অটোরিক্সার ব্যাটারী উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় পটুয়াখালী সদর থানায় গত ২১ সেপ্টেম্বর ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী ২০০৩) এর ৭/৩০ তৎসহ ৩২৮/৪৫৭/৩৮০ পেনাল কোড মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে আদালতে হস্তান্তর করা হচ্ছে।
যাযাদি/এসএস