দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ফসলের জমিতে আলোক ফাঁদ পদ্ধতির ব্যবহার দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। চলতি আমন মৌসুমে ক্ষতিকর পোকা দমনে আলোক ফাঁদ পদ্ধতি স্থাপন ও তার ব্যবহার সম্পর্কে কৃষকদের উদ্বুদ্বকরণ করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রাকৃতিক উপায়ে ধান সহ কৃষি ফসলের জন্য ক্ষতিকর পোকা শনাক্ত এবং নিধনের লক্ষ্যে উপজেলার চারটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ১৩ টি বøকে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের নিয়ে আলোক ফাঁদ পদ্ধতি স্থাপন ও ব্যবহার সম্পর্কে উদ্বুদ্বকরণ করছেন।
পরে তা দেখে উদ্বুদ্ব হয়ে এখন প্রতিদিনই কোনো না কোনো মাঠে কৃষকেরা রাতে বেলায় নিজেরাই আলোক ফাঁদ স্থাপন শুরু করেছে। ফলে ফসল উৎপাদনে কীটনাশকের ব্যবহার যেমন কমছে, তেমনি নিরাপদ ফসল উৎপাদন হচ্ছে।
মগলিশপুর গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান, রাজু, মিলন, আশরাফুল বলেন, আলোক ফাঁদের মাধ্যমে ক্ষতিকর পোকা নিধন পদ্ধতি খুবই দারুণ। শুধু ফসল নয়, বাড়িতেও বিরক্তিকর পোকা নিধনে আলোক ফাঁদ ব্যবহার উপকারে আসে। এছাড়াও বিভিন্ন শাক-সবজি জমিতেও তারা আলোক ফাঁদ পদ্ধতি ব্যবহার করছেন বলে জানান।
উপজেলার চাঁদপাড়া বøকের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. শহিদুল্লাহ জানান, আলোর ফাঁদ হচ্ছে ফসলের ক্ষতিকর ও উপকারী পোকামাকড় সনাক্ত করার একটি পদ্ধতি। যা সনাক্ত করার পর সেই অনুযায়ী কীটনাশক ব্যবহার পরামর্শ কৃষকদের দেয়া হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রফিকুজ্জামান জানান, আলোক ফাঁদ ফসলের ক্ষতিকর পোকা শনাক্ত করার ক্ষেত্রে খুব ভালো একটি পদ্ধতি। তাই কৃষকদের আলোকে ফাঁদ ব্যবহারে উদ্বুদ্ব করা হচ্ছে। চলতি মৌসুমে ১১ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে আমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
যাযাদি/ এসএম