সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১

ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাব পড়েছে রাজৈরের টেকেরহাট বাজারে

আকাশ আহম্মেদ সোহেল, রাজৈর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
  ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬:০৯
ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাব পড়েছে রাজৈরের টেকেরহাট বাজারে

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার বৃহত্তর টেকেরহাট বন্দরের কাচা বাজারে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাব পড়েছে। সারাদিন ঘনবৃষ্টির কারণে কমেছে বেচাকেনা। এতে চরম দুঃশ্চিন্তায় রয়েছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। কাদা পানি উপেক্ষা করে বিক্রির আসায় বিভিন্ন শাক সবজি নিয়ে বসে আছে তারা।

ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে রাজৈর উপজেলাজুড়ে টানা তিনদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। আগের দুইদিন হালকা রোদের ঝলকানি দেখা গেলেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শুরু হয় ঘনবৃষ্টি। এ বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট কাদা পানিতে জ্বরজড়িত হয়ে গেছে। ছাতা ছাড়া ঘর থেকে হতে পারছেন না কেউ। একেতো শীতকাল তারউপরে বৃষ্টি। দুই মিলে দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে জনজীবন।

সরজমিনে টেকেরহাট মাছ, মাংস ও কাচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, এ বেহাল পরিস্থিতির মধ্যে বাজারমুখি মানুষের চাপ কম। জরুরী প্রয়োজনে কেউ বাজারে আসলেও শাকসহ দ্রুত পচনশীল সবজি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। রান্নার ঝামেলা এড়াতে সাধ্যমতো বড় মাছ, মুরগী অথবা মাংস কিনে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন তারা। এদিকে ঝুড়িতে করে বিভিন্ন ধরনের শাক সবজি নিয়ে বসে আছেন ক্ষুদ্র কাচামাল বিক্রেতারা।

বাজার করতে আসা শুভ শেখ বলেন, মাছের থেকে পোল্ট্রি মুরগীর দাম কম আর ঝামেলাও কম। তাই মুরগী ও আলু কিনে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি।

এক ক্ষুদ্র সবজি বিক্রেতা মোস্তফা মুন্সী বলেন, ঝাকায় করে লাউ, চাল কুমড়া ও লাল শাক নিয়ে বসে আছি কিন্তু কেউ কিনছে না। সকাল থেকে মাত্র কয়েকটা লাউ বিক্রি করছি। আজ বৃষ্টির কারণে শাক কেউ নিতে চায় না।

আরেক দোকানী সেলিম মিয়া বলেন, প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার টাকার শাক সবজি কেনাবেচা করি। তাতে ৪-৫ শত টাকা আয় হয়। এ দিয়েই আমার সংসার চলে। এখন বৃষ্টির কারণে দূরের মানুষ বাজারে আসতে পারে নাই, তাই বেচাকেনার অবস্থাও ভালো না।

যাযাদি/এসএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে