শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

ডোমারে শৈত্যপ্রবাহের কারণে ফের জেকে বসেছে শীত

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি
  ০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫০
 হিমেল হাওয়া আর কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে জমি তৈরিতে ব্যাস্ত এক যুবক। ছবিটি মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে ডোমার সদর ইউনিয়নের আন্ধারুর মোড় এলাকা থেকে তোলা। 

শৈত্যপ্রবাহের কারণে নীলফামারীর ডোমারে ফের জেকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশা, মেঘলা আকাশ, হিমেল হাওয়া আর কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।

সোমবার ও মঙ্গলবার সারাদিন সূর্যের দেখা মিলেনি। ঘন কুয়াশা ও মেঘে ঢেকে রয়েছে আকাশ। হিমেল বাতাস আর কনকনে ঠান্ডার কারণে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও সাধারণ মানুষজন। ক্ষেত খামারে, মাঠে ঘাটে লোকজনের উপস্থিতি কমে গেছে। প্রয়োজনের তাগিদে বের হওয়া মানুষ জনদের সারাদিন গরম কাপড় গায়ে পরে ঘুরতে দেখা গেছে।

দুপুরের পর থেকে জনশূন্য হয়ে পড়েছে রাস্তা ঘাট এবং হাট বাজার। ঠান্ডা হাওয়ার কারণে বাইরে চলাচল করা যাচ্ছে না। শহরের রেল লাইনের উপর গড়ে উঠা গরম কাপড়ের দোকানে গুলোতে শীতের গরম কাপড় কিনতে স্বল্প আয়ের মানুষের ভীড় বেড়েছে। অভাবী লোকজন গরম কাপড়ের অভাবে বাড়িতে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন তাপিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন। দিনে এবং রাতে হিমেল বাতাসে বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না। আবহাওয়ার এ অবস্থা বর্তমানে গোটা উত্তরাঞ্চল জুড়ে বিরাজ করছে।

বৈরী আবহাওয়ার কারণে ক্ষেত খামারে কৃষি শ্রমিকের সংখ্যা কমে গেছে।

সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ভুজারী পাড়া গ্রামের যুবক আদিত্য কর্মকার বলেন, ঠান্ডায় তো কাজ-কাম করা যাচ্ছে না। তারপরেও সময় মতো ইরি-বোরো রোপনের জন্য জমি তৈরি করছি। যে হারে ঘন কুয়াশা ও শীত চলছে এতে বীজতলা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কনকনে ঠান্ডার কারনে শিশুদের মাঝে ডায়রিয়া ও বয়স্কদের মাঝে শ্বাসকষ্ট রোগ দেখা দিয়েছে। ডোমার উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল আলম জানান, ইতিমধ্যে ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৪হাজার একশত কম্বল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কম্বল গুলো ইউপি চেয়ারম্যান এবং মেম্বারদের মাধ্যমে শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করা হবে।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে