মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

দৃষ্টিনন্দন ৩টি সেতু নির্মানের স্থান পরিদর্শন করলেন এলজিইডি 

থানচি (বানাদরবান) প্রতিনিধি
  ২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৫৮
আপডেট  : ২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:১৪
দৃষ্টিনন্দন ৩টি সেতু নির্মানের স্থান পরিদর্শন করলেন এলজিইডি 

বান্দরবানে থানচি উপজেলার দুর্গম তিন্দু রেমাক্রী সংযোগ সড়ক,থানচি বলিপাড়া সংযোগ সড়কের তিন খালের দৃস্টি নন্দ টেকসই সেতু নির্মানের লক্ষ্যে স্থান পরিদর্শনে গেলেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ( এলইজিডি)'র উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। শনিবার ২০ জানুয়ারী দুপুরের দুর্গম রেখাইক্ষ্যং খাল, তিন্দু খাল ও হালিরাম খালের পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শন শেষে রবিবার ২১ জানুয়ারী সকালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলইজিডি)'র উপজেলা কার্যালয়ের সাংবাদিকদের ব্রিফিং কালে উপজেলা প্রকৌশলী মো: এমদাদুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর( এলজিইডি)'র বান্দরবান জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী ডক্টর জিয়াউল ইসলাম মজুমদার স্থান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান,গ্রাম হবে শহর প্রধান মন্ত্রীর ঘোষনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বান্দরবানের এমপি বীর বাহাদুরের সহযোগীতায় উপজেলা সদর হতে রেমাক্রী ও তিন্দু ২ ইউনিয়নের স্বাধীনতা পরবর্তীতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন করার সম্ভব হয়ে উঠতে পারিনি।

তবে উন্নয়নের প্রথম ধাপ হচ্ছে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতি করার।

তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে স্থায়ী টেকসই অবকাঠামো নির্মানের দৃঢ় অঙ্গীকারে এগোচ্ছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এরই ধারাবাহিকতা তিন্দু ও রেমাক্রী নব অনুমোদনকৃত সড়কটিতে তিন্দু খাল, রেখাইক্ষ্যং খালের উপর দৃস্টি নন্দন দুইটি সেতু এবং থানচি সদর হতে বলিপাড়া ইউনিয়নের ক্যচু পাড়া হয়ে কেউক্রাডং পর্যর্টন কেন্দ্রের যাওয়া সড়কের হালিরাম খালের উপর মোট তিনটি সেতু নির্মানের উদ্যোগ নিয়েছি।নির্মিত হলে দুর্গম আর থাকবে না। স্থানীয় অধিবাসীদের জুমের ফসল ও নানানভাবে উৎপাদিত ফলজ্য বনজ্য বাগানের উৎপাদিত ফসল গুলি নায্য মূল্যে বাজারজাত করা সহজ হবে এবং অর্থনিতিকভাবে সফলতা বয়ে আনবে। এছাড়াও যেহেতু তিন্দু ইউনিয়নের বড় পাথর, ডিমপাহাড়, কুমারী ঝর্না,ঙাফাঁখুম,সহ পর্যটন কেন্দ্র গুলিতে ভ্রমন পিপাসুরা আনায়াসের যাতায়াত করতে পারবে।

পরিদর্শণ শেষে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)'র স্থানীয় কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের জানান, উপজেলা সদর হতে দুর্গম দুই ইউনিয়নের নদীর পথ ছাড়া অভ্যন্তরীন যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই নাজুক।সেখানে সড়ক পথ না থাকায় দুই ইউনিয়নের অধিবাসীদের জুমের ফসল ছাড়াও ফলজ্য,বনজ্য বাগানের উদপাদিত ফসল,কলা,পেপে,কাজু বাদাম,ইত্যাদি নায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত ছিল।

বারবার অর্থনৈতিক চাক্কা পিছিয়ের পড়েছিল। ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া করার সুযোগ সুবিধা থাকলে ও যোগাযোগের কারনে নতুন উদ্যোগক্তারা নতুন করে উত্মুক্ত উদ্যোগ নিতে পারছিল না। সড়ক, সেতু একইসাথে নির্মিত হলে অর্থনৈতিক ভাবে ঘুড়ে দাঁড়ানো সম্ভব হবে।সুতারাং বান্দরবানের ৭ বারের নির্বাচিত সাংসদ, ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সাবেক মন্ত্রীর বীর বাহাদুর ( উশৈসিং)কে এলাকারবাসীদের দাবী প্রেক্ষিতে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত সিকড়ের পৌছার জন্য আমাদের অধিদপ্তরের বারবার তাগিদ দিয়েছেন। সে লক্ষ্যে সেতু নির্মানের স্থান পরিদর্শন করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের উপজেলা প্রকৌশলী মো: এমদাদুল হক সাংবাদিকদের জানান, গেল বছরে জুলাই মাসের আমরা পরিদর্শন করিয়ে পুর্নছক করে একটি প্রতিবেদন অধিদপ্তরের প্রেরণ করি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে এবং অধিদপ্তরে চিঠি লেখা লেখি পর চলতি মাসের বরাদ্ধ দেয়া সিদান্তে গৃহীত হয়।সুতারাং আজকের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করা হয়েছে । প্রতিটি সেতুর প্রায় ১০০ মিটারে ও বেশী দৈর্ঘ্য হবে।

পরিদর্শনের সময় এলজিইডি আমফান প্রকল্পের( ব্রীজ প্রকল্প) উপপরিচালক মো: এবাদত হোসেন , বান্দরবান জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী ডক্টর জিয়াউল ইসলাম মজুমদার, উপজেলার প্রকৌশলী মোঃ এমদাদুল হক সহ ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি টিম স্থান পরিদর্শনের উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধারাও অংশ নেন।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে