রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

গৌরীপুরে শহিদ হারুন দিবস পালিত, রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি’র দাবি

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
  ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:৩৭
গৌরীপুরে শহিদ হারুন দিবস পালিত, রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি’র দাবি

গণঅভ্যূত্থানে শহিদ ময়মনসিংহের গৌরীপুর কলেজের ছাত্র শহিদ আজিজুল হক হারুনের ৫৫তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও শহিদ হারুন দিবস উপলক্ষ্ শনিবার (২৭ জানুয়ারি) হারুন স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে আলোচনা সভা, শ্রদ্ধার্ঘ্ অর্পণ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।

বক্তরা বলেন, গণঅভ্যূত্থানে শহিদ আসাদ, মিন্টু’র গেজেট হয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেয়েছে। আমাদের হারুনের গেজেট হয়নি, তাঁর আত্মত্যাগের বিষয়টি আজও রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। তাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেয়াসহ তার নামে প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও নামকরণের দাবি জানাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হারুন স্মৃতি সংসদের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মুন্নাফ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট আবুল কালাম মুহাম্মদ আজাদ, শহিদ হারুনের ছোট ভাই শফিকুল আলম চাঁন মিয়া, উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর, উপজেলা আ’লীগের সাবেক তথ্য গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট জসিম উদ্দিন আহাম্মেদ, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলী আহম্মদ খান পাঠান সেলভী, বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কদ্দুছ, রামগোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মুনসুর আহমেদ মিলন, সাবেক চেয়ারম্যান আহাম্মদ উল্লাহ আব্দুল হাই, ওস্তাদ আব্দুল মালেক, আ’লীগ নেতা মতিউর রহমান, মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী শিউলি চৌধুরী, রাজিব আহাম্মেদ ।

শহিদ হারুনের পরিবারের পক্ষে ছোট ভাই শফিকুল আলম মিয়া বলেন, বাবার জমির জন্য আমার ভাই শহীদ হয়নি। এদেশের মাটিকে স্বাধীন করতে রক্ত দিয়েছেন। দেশের জন্য তিনি জীবন বিলিয়ে দিলেও তাঁকে রাষ্ট্রীয়ভাবে মর্যাদা আজও দেয়া হয়নি।

উল্লেখ্য যে, ৬৯’র গনঅভ্যুত্থানের পুলিশের গুলিতে শহীদ হন গৌরীপুর কলেজের ছাত্র আজিজুল হক হারুন। ‘জয় বাংলা, তুমি কে আমি কে, বাঙালী বাঙালী, জেলের তালা ভাঙবো, শেখ মুজিবকে আনবো, ৬দফা-১১দফা মানতে হবে-মেনে নাও এই শ্লোগানে ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে মিছিলটি মধ্যবাজারে আসামাত্রই কন্ঠরোধ করতে তৎকালীন মহকুমার প্রশাসক এম, এ সামাদের নির্দেশে গৌরীপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ এম.এ মল্লিক গুলি চালায়। হারুনের রক্তে রঞ্জিত হয় রাজপথ।

শহীদ হারুনের বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নের ছামারুল্লাহ গ্রামে। মিয়া বক্স সরকারের পুত্র হারুনদের ৬ ভাই, ৩ বোন। নান্দাইল-আঠারবাড়ি সড়কের পাশেই চিরনিদ্রায় শুয়ে আছেন। গণঅভ্যূত্থানে শহীদ আসাদ, মিন্টু রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলেও আজও হারুনের স্বীকৃতি মিলেনি।

যাযাদি/এসএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে