রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

নোয়াখালীতে একটি বাসা থেকে স্ত্রীর গলাকাটা এবং স্বামীর ঝুলন্ত মেরদেহ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী
  ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:১৫
নোয়াখালীতে একটি বাসা থেকে স্ত্রীর গলাকাটা এবং স্বামীর ঝুলন্ত মেরদেহ উদ্ধার

নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে একটি বাসা থেকে স্ত্রীর গলাকাটা এবং স্বামীর ঝুলন্ত মেরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার বেলা ১২টার দিকে শহরের বার্লিংটনের মোড়ের দক্ষিণে বসুন্ধরা কলোনির কচি ডাক্তারের বাসার দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষ থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত মেহেদি হাসান শুভ(২২)সদর উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের প্রয়াত দুলাল মিয়ার ছেলে এবং তামান্না ইসলাম পিনু(১৬)নোয়াখালী পৌর এলাকার লিটন মিয়ার মেয়ে। তারা সম্পর্কে খালাতো ভাই-বোন। প্রেমের সম্পর্কের মধ্যদিয়ে গত বছরের আগষ্ট মাসে তারা বিয়ে করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে,কিছু দিন আগে ওই দম্পতি বাসাটিতে ওঠেন। নিহত তামান্নার বড় ভাই হোসাইন আহম্মদ নোমান সকালে তাদের বাসায় এসে ঘরের দরজা বন্ধ পান। অনেক ডাকাডাকির পরও কোন সাড়া না পেয়ে তিনি পাশের দালানে গিয়ে ওই বাসার জানালা খুলে মেহেদীর ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে বিষয়টি অবহিত করেন।

খবর পেয়ে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানসহ, পিবিআই, সিআইডি, ডিবি পুলিশ ও সুধারাম থানা পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিহত শুভ, পিনু দম্পতি প্রেমের সম্পর্কের মধ্যদিয়ে গত বছরের আগষ্ট মাসে বিয়ে করেন। এরপর তারা কিছুদিন ঢাকায় ছিলেন। সম্প্রতি মাইজদীর বসুন্ধরা কলোনীতে শাশুড়ির বাসায় থাকতেন শুভ। ওই বাসায় নিহত তামান্নার মা এবং ভাইও থাকতেন। পুলিশের ধারণা, আজ সকাল ৭টার কিছু সময় আগে-পরে স্বামী শুভ তার স্ত্রী তামান্নাকে গলাকেটে হত্যা করেন। এরপর বাসার সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এ সময় বিছানায় তামান্নার গলাকাটা রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায় এবং পাশেই হত্যায় ব্যবহৃত বটি পড়ে দেখা যায়।

এছাড়া বিছানার ওপরে থাকা ফ্যানের সঙ্গে স্বামীর মরদেহ ঝুলতে দেখা যায়। ওই কক্ষের দেয়ালে রক্ত দিয়ে কিছু লেখা দেখা যায়। মেহেদি হাসানের নিজের ডায়েরিতে তার হাতের লেখার সাথে দেয়ালের লেখার মিল রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

জেলা শহরে দিনের বেলা এমন ঘটনায় হতবিহব্বল স্থানীয় বাসিন্দারা। সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উঘাটনের দাবি জানিয়েছেন তারা।

জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান,আপাতদৃষ্টিতে দাম্পত্য কলহের কারণে স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামী নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে মনে হচ্ছে। তবে, তৃতীয় কোন পক্ষের এর সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বেলা ১২টার দিকে মরদেহ দুটি ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

যাযাদি/এসএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে