চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুরে রাতের আঁধারে ফের তাণ্ডব চালিয়েছে বন্য হাতির একটি দল। এতে দোকান, গাছপালা ও বসতবাড়ি তছনছের খবর পাওয়া গেছে। ফলে এ ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে আছে এলাকাবাসী।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) গভীর রাতে উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বানিগ্রাম নতুন পাড়া ও উত্তর পাড়ায় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন, ‘আহমদ ছফা সওদাগর, প্রকাশ রঞ্জন চৌধুরী, প্রবীণ চৌধুরী, পীযূষ চৌধুরী এবং পার্থ সার্থ চৌধুরী। এ ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক পাঁচ লক্ষ টাকা বলে জানায় ক্ষতিগ্রস্তরা।

স্থানীয়রা জানান, 'খাদ্যের খোঁজে বন্য হাতির দল কয়দিন পর পর ছুটে আসছে লোকালয়ে। খাবারের খোঁজে আসা হাতি গুলো বিভিন্ন ফসল নষ্টসহ বসতবাড়ি তছনছ করছে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। এদিকে এক সপ্তাহ না যেতেই আবারও মঙ্গলবার গভীর রাতে বন্য হাতির দল গ্রামে ঢুকে তাণ্ডব শুরু করে। হটাৎ হাতির তাণ্ডব বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কে আছে পুরো গ্রামবাসী।

বন্দুকযুদ্ধে বান্দরবানে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত

এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত আহমদ ছফা সওদাগর বলেন, ‘রাত আনুমানিক ৩টার দিকে হটাৎ বসতঘরের দেওয়াল ভাঙার শব্দ শুনি। কোন মতে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে আসলেও হাতির পাল ঘরের কাচের জিনিসপত্র, টিভি, দরজা সম্পূর্ণ ভেঙ্গে ফেলে। এতে আমার আনুমানিক এক লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসাইন বলেন, ‘মঙ্গলবার গভীর রাতে হটাৎ নতুন পাড়ায় বন্য হাতির তাণ্ডব শুরু হয়। এতে বেশ কয়েকটি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সকালে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। যা দেখেছি তাতে বুঝা যাচ্ছে হাতির পাল ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক পাঁচ লক্ষ টাকা বলেও জানান তিনি।'

সাধনপুর ইউপি চেয়ারম্যান কে.এম সালাহউদ্দিন কামাল বলেন, ‘খাদ্যের খোঁজে বন্য হাতির দল কয়দিন পর পর ছুটে আসছে লোকালয়ে। এতে সপ্তাহ পর পর তাণ্ডব চালায় বন্য হাতির পাল। গত এক সপ্তাহে আমার ইউনিয়নে তিন বার হাতি তাণ্ডব চালিয়েছে। যার কারনে আতঙ্কে আছে এলাকাবাসী। বিষয়টি বন বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।'

এ ব্যাপারে কালীপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘হাতির খাবার ফুলঝাড়ু এবং বাঁশ প্রতিনিয়ত উজাড় করা হচ্ছে বন থেকে, যার কারনে খাদ্যের খোঁজে বন্য হাতির দল কয়দিন পর পর ছুটে আসছে লোকালয়ে। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তারা যদি সঠিক উপায়ে আবেদন করে তাহলে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক ক্ষতিপুরণ দেওয়া হবে।

যাযাদি/ এসএম