মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

মৌলভীবাজারে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ পেয়ে ইউএনও'র অভিযান

সরকারি জায়গা ছেড়ে কাজ করার নির্দেশ
স্টাফ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার
  ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪০
মৌলভীবাজারে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ পেয়ে ইউএনও'র অভিযান

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আজমেরু এলাকায় কৃষি কাজে ব্যবহৃত সরকারি খাল বা গোপাট দখল করে সীমানা প্রাচীন নির্মাণের অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে তাৎক্ষণিক তহশিলধারের মাধ্যমে সরেজমিন তদন্ত করা হয়েছে। এতে সরকারি জায়গা ছেড়ে কাজ করতে বলা হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের আজমেরু এলাকায় রাস্তার পাশের সরকারি খাল বা গোপাট দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করছেন ফখরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি।

খালটি মোকামবাজারস্থ অফিসবাজার সড়ক থেকে দক্ষিণ দিক হয়ে আজমেরু এলাকা হয়ে কোদালী ছড়া পর্যন্ত পৌছেছে। এটি প্রায় ৪০ বছর আগে গোপাট হিসেবে পরিচিত ছিল। পরে ওই গোপাটের পশ্চিম পাশে খাল খনন করে পূর্ব পাশদিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হয়। উক্ত খালের বেশ কিছু অংশ দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করছেন স্থানীয় ফখরুল ইসলাম ।

এ বিষয়ে স্থানীয় উপকার ভোগী কয়েকজন কৃষক খাল দখল করে সীমানা প্রাচীন নির্মাণ করায় আপত্তি করেন। ফখরুল ইসলাম গংরা কৃষকদের আপত্তি তোয়াক্ষা না করে জোরপূর্বক দ্রুত সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরু করেন। পরে এষিয়ে স্থানীয় এলাকাবসির পক্ষে কৃষক রাজু মিয়া গেল ৩১ জানুয়ারি মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে ওইদিন বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে তহশিল অফিসার সরেজমিন প্রদর্শন করে কিছুটা অবৈধ ভাবে খাল দখলের সত্যতা পান। পরে তারা খাল বা গোপাটের ভুমি বাদ দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে দেন।

উল্লেখ আবশ্যক উক্ত খালের উত্তর পাশে রাজু মিয়ার বাড়ির সীমানা ও দক্ষিণ পাশে শাহীন মিয়ার কৃষি জমির সীমানা বিদ্যমান রয়েছে। তারা সহ অন্যান্য কৃষি জমির মালিকগণ খালের বাহিরে তাদের সীমানার অবস্থান। দীর্ঘ দিন থেকে ওই খাল থেকে পানি সেচ দিয়ে কৃষি কাজ করে আসছেন এলাকাবাসি। তবে খালটি ভরাট হওয়ায় সেচ্ছাশ্রমে খননের জন্য সম্প্রতি জেলা প্রশাসক বরাবরে এলাকাবাসীর পক্ষে একটি আবেদন করা হয়েছে। খালটি খনন হলে কৃষি কাজ সহ ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন চৌধুরী জানান, আজমেরু ওই ঘটনায় তাৎক্ষনিক তহশিল অফিসারকে পাঠানো হয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, যে জায়গায় অভিযোগ আসছে পুরোটা অবৈধ না। তাদের বলা হয়েছে, সরকারের যতটা জায়গা আছে, ওই জায়গায় তারা আয়ত্বে নিতে পারবে না। শুধু তাদের জায়গায় কাজ করতে বলা হয়েছে।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে