সিলেটের ওসমানীনগরের সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের শেরপুর সেতুর নিচের দিকে আরসিসি ধসে পরে রড বের হয়ে গেছে । সেতুর উপরের একাধিক স্থান ভেঙ্গে গিয়ে দেবে গেছে । সেতুর আরসিসি ভেঙে পড়ায় সেতুর একপাশ দিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ঢাকার সাথে সিলেটের সরাসরি যোগাযোগের একমাত্র সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে করছে যানচলাচল। এছাড়াও সেতুর নিচ দিয়ে শেরপুর-সৈয়দপুর রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী ৮/১০টি গ্রামের মানুষ চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন।
গত দুই দিন থেকে সেই রাস্তায় সেতুর আরসিসির ঢালাইয়ের টুকরো অবিরত ভেঙ্গে পড়ছে । যেকোনো সময় মানুষের উপর পাকা ঢালাইয়ে টুকরো ভেঙ্গে পরে ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা।
এ ছাড়া দ্রুত সেতুটির সংস্কার কাজ করা না হলে যাত্রী নিয়ে যানবাহন নদিতে পড়ার আশংকা করছেন এলাকাবাসী। এতে করে মহসড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে সারা দেশের সাথে সিলেটের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমাবার রাত ১২টা দিকে হঠাৎ করে সেতুর উত্তর পাড়ের দক্ষিণ অংশের নিচের আরসিসি ঢালাই ভেঙ্গে পড়তে শুরু করে। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ভিপি সাহেদ আহমদ মুছা, ওসমানীনগর থানার ওসি রাশেদুল হক ও শেরপুর হাইওয়ে থানার ওসি পরিমল দেব সেতু পরিদর্শন করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে সরজমিন সিলেটের প্রবেশ দ্বার শেরপুর সেতু পরিদর্শন কালে দেখা যায়, সেতুর উত্তরপাড়ের ওসমানীনগর অংশের দক্ষিন পাশে বেশ কিছু জায়গা উপরের দিকে ভেঙ্গে গিয়ে দেবে গেছে। একই স্থানের সেতুর নিচের দিকের বেশ কিছু অংশ আরসিসি ঢালাই ভেঙ্গে মাটিতে পরে গেছে। এ কারণে সেতুর ঢালাইয়ের রড বেরিয়ে গেছে। সেতুর মধ্যবর্তী স্থানের ঢাকা যেতে বাম পাশেও বেশ কিছু অংশ ভেঙ্গে দেবে গেছে। সংশ্লিষ্টরা বস্তা ও প্লাস্টিকের স্ট্যান্ড দিয়ে ভাঙ্গা অংশ সহ একপাশে যানচলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন।
সেতুর এক পাশ দিয়ে ঝুঁকির মধ্যে যানচলাচল করছে। সেতুতে যখন যানবাহন চলাচল করে পুরো সেতু জুড়ে কম্পনের সৃষ্টি হয়। পুরো সেতু দুলতে থাকে। এসময় সেতু ব্যবহারকারী অনেকেই সেতুটি দ্রুত সংস্কার করে ঝুঁকিমুক্ত করার দাবি জানান।
শেরপুর সৈয়দপুর গ্রামের আনোয়ার আলী(৬২) বলেন, গতকাল রাতে তাজপুর-সৈয়দপুর রাস্তা দিয়ে বাড়ি যাবার পথে শেরপুর সেতুর নিচে আসা মাত্র হঠাৎ করে সেতুর বড় একটুকরো পাকা ঢালাই ভেঙ্গে মাঠিতে পরে। অল্পের জন্য আমি রক্ষা পেয়েছি। আমাদের এলাকার মানুষ আতংকের মধ্যে সেতুর নিচ দিয়ে চলাচল করছেন।
সাদিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ভিপি সাহেদ আহমদ মুছা বলেন, সেতুর বেশ কিছু অংশ ভেঙ্গে পড়ার খবরে গত সোমবার রাত সাড়ে ১২টায় সেতু এলাকায় যাই। গিয়ে দেখি সত্যিই সেতুর বেশ কিছু অংশ ভেঙ্গে পরেছে। এলাকার মানুষ আতংকে রয়েছে। দ্রুত সেতুর সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করছি।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেন বলেন, আতংকের কিছু নেই অতি দ্রুত সেতুর ক্ষতিগ্রস্ত অংশ সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
যাযাদি/ এম