রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

নোয়াখালীতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের মতবিনিময়

স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী
  ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:২১
নোয়াখালীতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের মতবিনিময়

নোয়াখালীতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২১ নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শেণি পেশার প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার সকাল ১১ টায় জেলা শহরের এনআরডিএস হলরুমে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট এ মতবিনিময় সভা আয়োজন করে।

"জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২১: কোন পথে যাচ্ছে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা? ভাবনা ও করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় আলোচনা করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ, নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু নাছের মঞ্জু, নোয়াখালী নাগরিক অধিকার আন্দোলনের সদস্য সচিব জামাল হোসেন বিষাদ, পাটিসিপেটরি রিসার্স এন্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্ক প্রান এর প্রধান নির্বাহী নূরুল আলম মাসুদ, শিক্ষক নরুল আমিন, বাসদ ( মার্কসবাদী)'র জেলা সমন্বয়ক বিটুল তালুকদার, ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় স্কুল বিষয়ক সম্পাদক দিপা মজুমদার, অভিভাবক প্রতিনিধি সনিয়া ও মুক্তা, ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে বলেন জান্নাতুল ফেরদাউস বন্যা এবং সাকিব প্রমুখ।

আলোচনা সভার শুরুতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের পক্ষ থেকে একটি ধারণাপত্র উপস্থাপন করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, যখন করোনা মহামারীর বিপর্যয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, প্রাতিষ্ঠানিক পাঠদান শুরুর অনিশ্চিতায় সবাই শঙ্কিত এমন পরিস্থিতিতে সরকার শিক্ষামন্ত্রণালয়ের নির্দেশে প্রণয়ন করে "জাতীয় শিক্ষাক্রম- ২০২১"। এ কারিকুলাম পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার কথা বললেও সরকারের দিক থেকে এনিয়ে মতামত ও সমালোচনার মতো গণতান্ত্রিক কাজেও অসহিঞ্চু মনোভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে।

বক্তাগণ মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মানসম্মত শিক্ষক নিয়োগ, শিক্ষকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা করা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরকর্মকর্তা অবকাঠামোগত সংকট নিরসন এবং সর্বোপরি শিক্ষাখাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ না দিয়ে পাশ ফেল প্রথা এবং পরিক্ষা পদ্ধতি তুলে দিয়ে যে মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করেছে তার নেতিবাচক প্রভাব শিক্ষার্থীদের উপর পড়ছে। শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। প্রজেক্ট ও অ্যাসাইমেন্টের অনেকাংশে পাঠ্যপুস্তকের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় শিক্ষার্থীদের গুগল, ইউটিউবসহ অনলাইন মাধ্যমের দারস্থ হতে হচ্ছে এবং এ উপকরণগুলো সংগ্রহ করতে গিয়ে অভিভাবকদের ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে যা শিক্ষা বৈষম্যকে বাড়িয়ে তুলছে।

বক্তাগণ বলেন, শিক্ষাক্রমে ভাষা শিক্ষা ও মৌলিক বিষয়গুলোকে গুরুত্বহীন করে জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চাকে দূর্বল করছে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রয়োজনীয় সামাজিক দক্ষতা, যুক্তিশীল মানসিকতা, বিশ্লেষণী ক্ষমতা এবং মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হওয়ার পথ বিঘ্নিত হবে। বক্তাগণ বলেন, ১৯৬২ ও '৮৩ এর শিক্ষা আন্দোলনসহ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে এদেশে সর্বজনীন, বিজ্ঞানভিত্তিক, সেক্যুলার, গণতান্ত্রিক, একইধারার শিক্ষার আকাঙ্খা তৈরি হয়েছিল।

আলোচকবৃন্দ অবিলম্বে শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবি, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, ছাত্র সংগঠনসহ সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষের অংশগ্রহণে শিক্ষার নীতিগত এই আকাঙ্খার পরিপূরক শিক্ষাক্রম প্রণয়নের আহবান জানান।

এ লক্ষ্যে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট " জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২১ " নিয়ে সমাজের বিভিন্ন স্তরের সচেতন মানুষদের মতামতগুলো তুলে ধরতে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে।

শুরুতে ৫ দফা দাবিনামা সহ সংগঠনের বক্তব্য কী নোট পেপারের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের জেলা সংগঠক মুনতাহার প্রীতি।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে