গত মঙ্গলবার একদল সন্ত্রাসী জুয়ারু পুলিশের উপর হামলা করে দুই পুলিশ সদস্যকে গুরুতর আহত করে। পরে পুলিশ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। তবে জানা যায় এই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী বা এই জুয়ার আড্ডা চালিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া রিয়াজ রাড়ী ও মোজাম্মেল মীর রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। এলাকাবাসীর অভিযোগ এরাই হচ্ছে এই জুয়ার আড্ডার মূল নায়ক। তাদের হুকুমেই চলে এই জুয়ার আড্ডা। ঐ এলাকার মেম্বার জুয়েল রাড়ী জানান যারা এই আসামি হয়েছেন বা পুলিশ যাদেরকে খুঁজছে তারা চুনাপুটি মাত্র। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান এই জোয়ার আড্ডা থেকে প্রতিমাস থানায় মাসোহারা দেয়া হতো। তাই যারা মাসোহারা দিতেন তাদেরকে বাঁচাতে পুলিশ মরিয়া। জসিম সরদার, মোঃ আলী, বশির, সায়েদ এরা হলো চুলপুটি হুকুমের গোলাম। তাই এলাকাবাসীর দাবি এই হামলার মূল পরিকল্পনাকারীকে আইনের আওতায় আনা হোক।
বরিশালের হিজলা উপজেলার মেঘনা নদী তীরে জুয়াড়ীদের হামলায় ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। হামলায় এক পুলিশ সদস্যর মাথা ফেটে গেছে। হাত ভেঙে গেছে ২জনের। তাদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বড়জালিয়া ইউপির পুরাতন হিজলা বাজারের পন্টুনের পাশে মেঘনা তীরে এ ঘটনা ঘটেছে।
আহত ৩ পুলিশ সদস্য হচ্ছে এএসআই আব্বাস, কনস্টেবল আ: রহমান ও কনস্টেবল তাইজুল।
এদের ভয়ে এলাকায় কেউ মুখ খুলতে পারছে না নিয়মিতই তারা জুয়া খেলছে।
গত দেড় বছর আগে একই এলাকায় হিজলা থানার এসআই সুজিত কুমারকে মারধর করে আটকে রাখে পরে হিজলা থানার শক্তিশালী একটি পুলিশ দল গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। কিন্তু তখনও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
তবে এ ব্যাপারে হিজলা থানায় ইনচার্জ জুবায়ের আহমেদ বলেন, আমরা প্রথমে এট সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত তাদেরকে মামলার আওতায় এনেছি। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করে এর পিছনে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
যাযাদি/এসএস