রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

ফটিকছড়িতে  বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিহত পরিবারের পাশে ইউএনও

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি
  ০৬ মে ২০২৪, ১২:৪২
ছবি: যায়যায়দিন

ফটিকছড়ি পৌরসভায় পড়ে থাকা ছেঁড়া বিদ্যুতের তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যাওয়া ছাবা খাতুনের পরিবারের পাশে সহযোগীতার হাত বাড়িয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

গত শুক্রবার বিকেলে ফটিকছড়ি পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডে এ ঘটনার পরদিন দৈনিক আজাদীতে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি সবার নজরে আসে। এরপর রোববার ভুক্তভোগী পরিবারের সাথে ফটিকছড়ি পৌরসভার মেয়র এবং ফটিকছড়ি জোনাল অফিসের ডিজিএম ও এজিএম এর সাথে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত। বৈঠকে পৌরসভা এবং পল্লী বিদ্যুৎ এর কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিজস্ব অর্থায়নে ভুক্তভোগী পরিবারকে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

এদিকে রোববার ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছাবা খাতুনের পরিবারকে নগদ ১০হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা এবং খাদ্য সামগ্রী প্রদান করে। এ ব্যাপারে তিনি বলেন- ঘটনাটি শুনে আমি মর্মাহত হয়েছি। ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। ব্যক্তিগত ভাবে কিছু সহায়তা দিয়েছি। আশা করি অন্যরা এ পরিবারের পাশে দাঁড়াবে। এ ব্যাপারে ফটিকছড়ি পৌরসভার মেয়র ইসমাইল হোসেন বলেন- ভুক্তভোগী পরিবারের সাথে বৈঠকে পল্লী বিদ্যুৎ দুঃখ প্রকাশ করেছে। ওই অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাদের বেতন থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। আমরাও পৌরসভার পক্ষ থেকে ওই পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করবো।

এ ব্যাপারে ফটিকছড়ি জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের অফিসিয়াল কোন সহযোগিতা নেই। মেয়রের অফিসে সিদ্ধান্ত হয়েছে আমাদের নিজস্ব অর্থ দিয়ে এবং পৌরসভার আর্থিক সহায়তা দিয়ে ওই পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করবো।

ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে নিহত ছাবা খাতুনের দেবরের ছেলে মোহাম্মদ মোবারক হোসেন বলেন, পরিবারটি খুবই দরিদ্র। পৌরসভা অফিসের বৈঠকে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তারা নিজ উদ্যোগে আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। এছাড়াও ইউএনও আর্থিক সহযোগিতা করেছে এবং পৌরসভার মেয়রও সহযোগিতা আশ্বাস প্রদান করেছে। এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ আমাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং তারটি বদলে দিবে বলেছে। এরপরেও আমাদের দাবি এ ধরনের কোন ঘটনা যেন ভবিষ্যতে না ঘটে।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (৩ মে) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার ফটিকছড়ি পৌরসভাধীন ৯ নং ওয়ার্ডের উত্তর ধুরুং গ্রামের কাসেম ডাক্তার বাড়িতে পড়ে থাকা ছেঁড়া বিদ্যুৎ এর তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ছাবা খাতুন (৬০) নামে এ বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। তিনি এক মেয়ে সন্তানের জননী। তার স্বামী মোহাম্মদ কালু (৬৫) একজন কৃষক।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে