বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

বুড়িঘাট রেঞ্জ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বাড়তি অর্থ আদায়ের নানা অভিযোগ

নানিয়ারচর (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধি
  ০৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৯
বুড়িঘাট রেঞ্জ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বাড়তি অর্থ আদায়ের নানা অভিযোগ

বুড়িঘাট বনবিভাগ রেঞ্জ অফিসের কর্মকর্তা মো: সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে বাড়তি অর্থ আদায়ের নানা অভিযোগ। স্থানীয় বাশ ব‍্যবসায়ী আব্দুল হক এবং উকিল আহমেদ জানান, বুড়িঘাট রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে বাড়তি অর্থ আদায়ের বিভিন্ন অভিযোগের প্রসঙ্গে বলেন সরকারি রাজস্ব আদায় যা রাঙ্গামাটি অফিসে বসেই করেন যাহা অনিয়ম।

এছাড়া প্রতি গাড়িতে লোড আনলোড ওজন ধারনক্ষমতা না মেপেই প্রতি গাড়ির রাজস্ব আদায় করা করা হয়ে থাকে। যার ফলে অনেক সময় লোক চক্ষুর অন্তরালে অবৈধ জিনিস বা পন‍‍্য মাত্রাতিরিক্ত পরিবহনে ফলে সরকারি রাজস্ব ফাকি হওয়ার সম্ভবনা থাকে । এতে সরকারে একদিকে রাজস্ব ফাকি অন‍্যদিকে অবৈধ পন‍্য পরিবহনের সুযোগ রয়েছে।

বুড়িঘাটের বাশ ব‍্যবসায়ী আব্দুল হক জানান অনেক সময় রেঞ্জকর্মতা বুড়িঘাটে আসলেই তাকে গাড়ী ভাড়া চা নাস্তার খরচ বাড়তি করে আদায় করেন। একটি বাশের গাড়িতে সরকারের রাজস্ব আদায় সর্বোচ্চ ৩৭০০ টাকা। কিন্তু এই রেঞ্জ কর্মকর্তা ৭০০০ টাকার বেশি আদায় করেন। প্রতি মাসে অন্তত ব‍্যবসায়ী আব্দুল হকের ১০ থেকে ১৫টির বেশি বাশের গাড়ির সরকারি রাজস্ব দিয়ে থাকেন।

প্রতিটি গাড়িতেই ২৫০০- ৩০০০ টাকা বাড়তি টাকা দিয়ে হয়।এসব বাড়তি অর্থ না দিলে বিভিন্ন হয়রানি করেন এই রেঞ্জকর্মকর্তা। অনেক সময় রাজস্ব আদায়ের রশিদ দিতে গড়িমসি করেন।বিভিন্ন হুমকি,ধামকি ও সরকারি রাজস্ব আদায় রশিদ দিতে চায় না।তিনি আরো জানান,বুড়িঘাটে যেহেতু একটি রেঞ্জ এলাকা রয়েছে তিনি বুড়িঘাটে বসেই সরকারি রাজস্ব আদায় করুক।তিনি বুড়িঘাট এলাকায় কমিশন ভিত্তিক লোক রেখেছেন। একজন সরকারি বন বিভাগ রেঞ্জকর্মকর্তার এইরুপ কাজ অবশ্যই নিন্দনীয়।

বুড়িঘাট রেঞ্জ কর্মকর্তা স্থানীয় রেঞ্জে না থাকায় অবৈধ গাছ বাশ পাচার হওয়ার সম্ভবনা বেশি রয়েছে। একজন সরকারি বেতনভূক্ত কর্মকর্তা এই কাজ করতে পারেন না। তিনি রাঙ্গামাটি থাকলেও সকল কার্যক্রম অব‍শ‍্যই বুড়িঘাটে এসেই করা প্রয়োজন।

এই বিষয়ে বুড়িঘাট রেঞ্জকর্মতা মো: সিরাজুল ইসলাম কে মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে বুড়িঘাটের আব্দুল হক বা উকিল আহমেদ, কুতুকছড়ির দয়াল চাকমা নামের কোন ব‍্যবসায়ী নেই। এই নামে কোন ব‍্যবসায়ীকে চিনেন না, তিনি সকল বিষয় অস্বীকার করেন।এবং মুঠোফোনে গনমাধ‍্যমকর্মীর কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেনি। অভিযোগের বিষয়টি নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে অবগত করা হয়েছে।

রাঙ্গামাটি বনবিভাগ অফিসের প্রধান (অফিসার) মো: সোহেল রানাকে বিষয়টি অবগত করা হলে তিনি কঠোরভাবে ব‍্যবস্থা নেওয়ার আসস্থ করেন।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে