ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে বন্দি তারেকুল ইসলামের গ্রামের বাড়িতে চলছে আহাজারি। সন্তানকে ফিরে পেতে কান্নাকাটি করছেন আল্লাহর কাছে। তারেকুলের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালীর রায়পুর ইউনিয়নের ছকড়িকান্দি গ্রামের বাড়িতে গেলে এসময় তারা সন্তানকে ফিরে পাওয়ার জন্য সকলের সহায়তা কামনা করেন। একইসাথে সরকার যাতে ওই জাহাজের সকলকেই জীবিত উদ্ধার করতে পারে সেই আর্জি জানান। তার মা হাসিনা বেগম জানায়, সাত বছর বয়স থেকে কখনো নামাজ-রোজা কামাই করেনি তারেক। এমন একটি সোনার ছেলের এমন দুর্দশার খবরে বারবার হুহু করে কেঁদে উঠছেন তার মা। ছেলের ছবি দেখে কান্না করছেন আর তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের কাছে বার্তা পৌছে দেয়ার অনুরোধ করছেন।
ছকড়িকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা রাধা রানী ভৌমিক বলেন, ভারতের মহাসাগরের সোমালিয়ায় ২৩ নাবিকে জলদস্যুরা কিডন্যাপ করেছে এর মধ্যে আমার ছাত্র তারেকুলও ছিলো। তারেকুল ছোটকাল থেকে খুব মেধাবি ছাত্র ছিলো আমি প্রধানমন্ত্রী কাছে চাইবো তারেকুলসহ সবাইকে স্ব শরীরে সুস্থভাবে যেন দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
স্থানীয় প্রতিবেশীরা জানান, তারিকুল খ্বুই নম্্র এবং ভদ্র একটি ছেলে ছিলো। ছুটি শেষে গত ডিসেম্বরে বাড়ি থেকে চাকরিতে যায়। ৪ মার্চ দুবাই থেকে কয়লা নিয়ে বাংলাদেশে আসার পথে অপহরনের স্বীকার হয়। অবসরপ্রাপ্ত চাকুরিজীবী মো. দেলোয়ার হোসেনের দুই ছেলে একমেয়ের মধ্যে সবার ছোট মোঃ তারেকুল ইসলাম। স্থানীয় প্রাইমারি স্কুল থেকে পাশ করে চলে যান ঢাকায়। সেখানে মিরপুরের ড. মো. শহীদুল্লাহ কলেজিয়েট স্কুল থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করেন।
মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামনূন আহমেদ অনীক মুঠোফোনে বলেন, ভারত মহাসাগরের সোমালিয়া ২৩ নাবিকের জিম্মির ঘটনায় জেলা প্রশাসন এবং উপজেলা প্রশাসন অবগত রয়েছি সরকারীভাবে যে নির্দেশনা আসবে সেভাবেই কাজ করা হবে। তারেকুলের গ্রামের বাড়িতে ভিড় করছেন আত্মীয়-স্বজন সহ প্রতিবেশীরা। তাদের একটিই আকুতি, যেকোন মূল্যে তারা তাদের প্রিয় তারেকুলকে ফেরত চান। বন্দী ২৩ নাবিকের মধ্যে ফরিদপুরের সন্তান তারেকুলও জিম্মি।
যাযাদি/এসএস