যশোরের চৌগাছায় একই দিনে দুই নারীর আত্মহত্যা। আরো চারজন আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়ে ব্যার্থ হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে উপজেলার দেবীপুর গ্রামের রতনপুর পাড়ার সাজেদা বেগম (৪০) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তিনি দেবীপুর গ্রামের মৃত হোসেন আলীর স্ত্রী।

মৃতের ছেলে তুহিন হোসেন বলেন, সম্প্রতি আমার মায়ের পায়ে বড় ধরণের অপারেশন করা হয়েছে। এর পরে থেকে তীব্র যন্ত্রণা শুরু হয়। মঙ্গলবার দুপুরে যন্ত্রণা সহ্য করতে না পারায় মা নিজের ঘরের আড়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনার সময় বাড়ীতে আমরা কেউ ছিলাম না।

এদিকে এদিন ভোরে সেহরির পর মেয়ের উপর অভিমান করে নুরজাহান (৬০) নামে এক নারী আত্মহত্যা করেছেন। তিনি উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের দর্গাপাড়ার মৃত আব্দুল জলিলের স্ত্রী।

মিঠাপুকুরে প্রকাশ্য এজেন্ট ব্যাংকিং শাখায় কিশোর গ্যাংকের হামলা

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মা-মেয়ের ঝগড়ার জের ধরে মা মেয়ের উপর অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ওহিদুল ইসলাম ভোদড় বলেন, মা-মেয়ের ঝগড়ার জের ধরে মেয়ের উপর অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে মা আত্মহত্যা করেন। তিনি ভোরে সেহরির পর মেয়ের উপর অভিমান করে বাড়ীর পাশে একটি আতা গাছে নিজের ওরনা দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়।

পরে সকালে পরিবারের লোকজন তাকে আতা গাছে ঝুলে থাকতে দেখে। তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন তাকে নিচে নামায়। নামানোর অনেক আগেই তিনি মারা যান।

চৌগাছা সরকারি মডেল হাসপাতাল সূত্রে জানা য়ায়, মঙ্গলবার উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আত্মহত্যা চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়েছেন আরো ৪ জন। এরা হলন উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামের শাহিনুর রহমানের ছেলে আরাফাত হোসেন (১৭), সে বিষ পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।

সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের মাকাপুর গ্রামের মসলেম হোসেনের মেয়ে তাহেরা খাতুন (১৮), সে হারপিক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বাড়ীর ছাদ থেকে লাফদিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে পৌর শহরের কুঠিপাড়া এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে নাহিদ হোসেন (২০), এবং বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে গুলবাগপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মুন্না হোসেন (২৩)।

এদের মধ্যে তাহেরা খাতুনকে যশোর রেফার করা হয়েছে। বাকীরা চৌগাছা সরকারি মডেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

যাযাদি/ এম