নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে অবৈধভাবে বালু পাচারের দায়ে দুই ব্যক্তির এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। পৃথক দু’টি ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এ জরিমানা করা হয়েছে।
সূত্র জানায়- কিশোরগঞ্জ উপজেলাধীন নদনদী, খালবিল ও সরকারি জলাশয়ে খননকৃত বালি ও মাটি নিলামের মাধ্যমে বিক্রয় করা হয়। কার্যাদেশের শর্ত অনুযায়ী বালু অপসারণের সময় শেষ হওয়ার পর বালু পাচারে মরিয়া হয়ে উঠে বালু ব্যবসায়ীরা। ওই স্থানগুলো থেকে গভীর রাতে ড্রাম্পট্রাকের মাধ্যমে বালু পাচার করা হচ্ছে খবর পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে অবহিত করা হয়। এছাড়াও কার্যাদেশের মেয়াদ শেষ হওয়ায় নিলামকারী সকলকে বালু উত্তোলনে নিষেধ করা হয়েছে। এরপরও তারা বালু পাচারে মরিয়া হয়ে উঠে।
সোমবার গভীর রাতে স্থানীয় গ্রাম পুলিশের একটি দল দক্ষিণ বাহাগিলী এলাকায় তিনটি ড্রাম্পট্রাক আটক করে। খবর পেয়ে ওই এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে বালু পাচারের অপরাধে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচালী গ্রামের বাবলু মিয়ার পুত্র মনির উদ্দিনের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অপর দিকে রবিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের কালিকাপুর ময়দানপাড় এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু পাচারের দায়ে তিনটি ট্রাক্টর আটক করে এলাকাবাসী। সেখানেও ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে নীলফামারীর সদর উপজেলার কচুকাটা এলাকার সহিদার রহমানের পুত্র বালু ব্যবসায়ী মাহমুদুল হাসানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত।
যাযাদি/এসএস