বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

ধামরাইয়ে গ্যাস লিকেজে দগ্ধ, ৫ দিন পর স্বামী স্ত্রী ও ছেলে মারা গেলেন

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
  ০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২৫
ধামরাইয়ে গ্যাস লিকেজে দগ্ধ, ৫ দিন পর স্বামী স্ত্রী ও ছেলে মারা গেলেন

ঢাকার ধামরাইয়ে লিকেজ থেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ হওয়ার ঘটনায় ৫ দিন ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় সোমবার ভোর রাত থেকে বিকেল পর্যন্ত সময়ে স্বামী স্ত্রী ও এক মাত্র কলেজ পডুয়া ছেলে মারা গেছে। আর তাদের একমাত্র মেয়ে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী নিশরাত জাহান সাথী সংকটাপন্ন অবস্থায় ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন আছে বলে জানা গেছে। দগ্ধ স্বামী স্ত্রী ও ছেলের মৃতে্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে পুরো পাড়ায় শোকের ছায়া নেমে আসে। নিহতদের এক নজর দেখতে আত্বীয় স্বজন ও এলাকাবাসী ভীড় করছেন ওই বাড়িতে। জানা গেছে, গত বুধবার রাত ৩টার দিকে সাহ্রি রান্না করতে রান্নাঘরে যান সুফিয়া বেগম। এরপরই তিনি গ্যাসের চুলা জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে পুরো ফ্ল্যাটে জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণে বিকট শব্দ হয় ও অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে সুফিয়া বেগম (৫৫) স্বামী অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম নান্নু মিয়া (৬২), মেয়ে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের এমবিবিএসের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নিশরাত জাহান সাথী (২৩) ও ছেলে এইচএসসি পরীক্ষার্থী আল হাদী সোহাগ (১৯) দগ্ধ হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে ধামরাই ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রো নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। নুরুল ইসলাম নান্নু মিয়া ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া সুবিধার জন্য ধামরাই পৌরসভার মোকামটোলা এলাকার ইটালি প্রবাসী ইব্রাহিম হোসেনের চারতলা ভবনের নিচতলায় ভাড়া থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি ধামরাইয়ের বাইশাকান্দা ইউনিয়নের বাঘাইর গ্রামে।

নিহত সুফিয়া বেগমের ভাই আজিজুল হক সাংবাদিকদের জানান, পরিবারটি অত্যান্ত সুখি পরিবার ছিল। আমার বোন, বোনের জামাই ও ভাগনেকে হারিয়ে আমরা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছি।

নিহত নুরুল ইসলাম নান্নু মিয়ার মা নুরজাহান বেগম জানান, আমি এই শোক সইব কেমন করে। আমার তো দুনিয়াতে কেউ রইল না। এভাবেই কান্না করতে করতে বিলাপ করছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, স্বামী স্ত্রী ও ছেলের মৃতে্যুর খবরে পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সকলের চোখেই জ¦ল জ¦ল করছে পানি।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গ্রামের বাড়িতে এখনও লাশ পৌঁছায়নি। তবে দাফনের সকল প্রস্তুতি গ্রহন করছেন গ্রামবাসী।

যাযাদি/এসএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে