বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতীক বরাদ্দের আগেই ডিজিটাল মিডিয়ায় প্রচার করতে পারবে: ইসি আলমগীর 

গাজীপুর প্রতিনিধি
  ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ২১:০৫
আপডেট  : ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ২১:১৪
প্রতীক বরাদ্দের আগেই ডিজিটাল মিডিয়ায় প্রচার করতে পারবে: ইসি আলমগীর 

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, ডিজিটাল যুগে এবারই প্রথম নির্বাচনে ডিজিটালভাবে প্রচারণা করার অনুমোদন দিয়েছি। বাছাইয়ের পর প্রতীক বরাদ্দের আগেই প্রার্থীরা ডিজিটাল মিডিয়ায় প্রচার করতে পারবে, জনগণের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করে প্রচারণা করতে পারবে। আমরা নির্বাচনের প্রচারের কাজটা উন্মুক্ত করে দিয়েছি।

বৃহস্পতিবার বিকেলে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় সভাশেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর ওইসব কথা বলেন।

গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কশিশনের ঢাকা আঞ্চলিক কর্মকর্তা মো.ফরিদুল ইসলাম, গাজীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল হাসান ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাচন কর্মকর্তা, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্মকর্তা অংশ নেন।

নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির বিষয়ে ইসি মো. আলমগীর বলেছেন, আপনারা দেখেছেন স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে সবসময় ভোটার উপস্থিতি বেশি থাকে। এটা নিয়ে আমাদের কোন উদ্বিগ্ন হওয়ার বিষয় থাকে না। কারণ আমরা দেখেছি আমাদের যত জায়গায় স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়েছে সেখানে ভোটার উপস্থিতি অনেক ভালো। কোন কোন ক্ষেত্রে ভোটার উপস্থিতির হার শতকরা ৮০ভাগেরও উপরে হয়েছে।

তবে গাজীপুরের ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কেমন হবে এ মুহুর্তে বলতে পারছি না। তবে আমাদের ধারণা যে উপস্থিতি ভালোই হবে। কারণ স্থানীয় পর্যায়ের যারা প্রার্থী হন তাদের ভোটারদের সঙ্গে স্থানীয় পর্যায়ে সরাসরি যোগাযোগ থাকে, তারা ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে আসে এবং তাদের উৎসাহিত করেন।

এছাড়া আমাদের পক্ষ থেকেও ভোটারদের উপস্থিতি বাড়াতে টিভিতে বিজ্ঞাপন, ইউটিউব, ফেসবুক এবং পত্র-পত্রিকায় প্রচার থাকে। এছাড়া প্রার্থীদের পক্ষ থেকে নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন জায়গায় প্রচারণা চালায়, মিটিং করে মিছিল করে, প্রচারণা চালায়। এভাবেই ভোটাররা উৎসাহিত হয়ে কেন্দ্রে যায়। আমাদের ভোটাররাও এখন যাথেষ্ট সচেতন।

এক্ষেত্রে মিডিয়ার ভুমিকাও অনেক। মিডিয়াতেও সবসময় তারা খবর দেখে, অনুষ্ঠান দেখে। ভোটের প্রচার এমনিই হয়ে যায়। আলাদাভাবে খুব একটা প্রচারের প্রয়োজন হয়না।

নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন ও জাতীয় সংসদের যে দুইটি নির্বাচন হয়েছে তা সকল ক্ষেত্রে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। এটা শুধু গাজীপুরবাসীর কাছেই নয়, এটা দেশ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়েও স্বীকৃত। এখানে যেসব নির্বাচন কর্মকর্তারা এবার উপজেলা নির্বাচনের আছেন যারা জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাদের যে অভিজ্ঞতা আছে সেই অভিজ্ঞতাকে কাছে লাগিয়ে তারা এ নির্বাচনকে আরো সুন্দর, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ করার জন্য তারা যেসমস্ত প্ল্যানগুলো নিয়েছেন তা আমাদের জানিয়েছেন। সেই সাথে আমাদের পক্ষ থেকেও নির্বাচন কমিশনের নতুন নতুন যে চিন্তা-ভাবনাগুলো আছে সেগুলো তাদের বলেছি এবং তাদের নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহায়তা থাকবে। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচনে তাদের সর্বাত্বক সহযোগিতা করে যাবে। সেগুলো তাদের জানানো হয়েছে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল হাসান এ প্রতিনিধিকে বলেন, নির্বাচনে আগে প্রতীক বরাদ্দের আগে কোন প্রার্থী বা অন্য কেউ তার পক্ষে কোন প্রকার প্রচার-প্রচারনা করতে পারবেন না। কিন্ত্র এবারই প্রথম অনুমোদন দেয়া হলো প্রার্থীতা বাছাইয়ের পর এবং প্রতীক বরাদ্দের আগে যে কোন প্রার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক তথা ডিজিটাল মিডিয়ায় নিজেদের প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে প্রচারণা চালাতে পারবে। আগেই এর কোন অনুমোদন ছিল না।

এ ক্ষেত্রে প্রার্থী একা বা সর্বোচ্চ ৫জন নিয়ে জনগণের কাছে নিজের প্রচারনা করতে পারবে। আর প্রতীক বরাদ্দের পর তারা পোস্টার, ব্যানার, পথসভা করে ব্যাপকভাবে প্রচারণা চালাতে পারবে।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে