মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

খাবারে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে নগদ টাকা-স্বর্ণালংকার লুট, চুরিকাঘাতে শিশুসহ আহত ৫

নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
  ২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫৩
খাবারে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে নগদ টাকা-স্বর্ণালংকার লুট, চুরিকাঘাতে শিশুসহ আহত ৫

নাঙ্গলকোটে খাবারের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে পরিবারের সবাইকে অজ্ঞান করে নগদ টাকা এবং স্বর্ণালংকার লুট করার ঘটনা ঘটেছে।

এসময় অচেতন হয়ে ৪জন অসুস্থসহ দূর্বৃত্তদের চুরিকাঘাতে এক শিশু আহত হয়েছে। অসুস্থদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে, শনিবার রাতে উপজেলার মৌকরা ইউনিয়নের তেতৈয়া গ্রামের গ্রীস প্রবাসী আলাউদ্দিন বাচ্চুর বাড়িতে। অসুস্থরা হলেন, রেশনা আক্তার (৩০), তার শিশু সন্তান আল আমিন (৬), মাওলানা আব্বাস উদ্দিন (৫০), তার স্ত্রী ফাতেমা আক্তার (৪০) ও ছেলে ওমর ফারুক (১৭)। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

জানা যায়, গত শনিবার সন্ধ্যার কোন এক সময় অজ্ঞাত দূর্বৃত্তরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে উপজেলার মৌকরা ইউনিয়নের তেতৈয়া গ্রামের গ্রীস প্রবাসী আলাউদ্দিন বাচ্চুর রান্না ঘরে রাখা খাবারের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশেয়ে রাখেন।

ওইদিন রাতে আলাউদ্দিন বাচ্চুর স্ত্রী রেশমা এবং তার বড় ভাই মাওলানা আব্বাস উদ্দিন, তার স্ত্রী ফাতেমা আক্তার ও ছেলে ওমর ফারুক নেশা জাতীয় দ্রব্য মেশানো রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে অচেতন হয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে আলাউদ্দিন বাচ্চুর শিশু সন্তান আল আমিন ও মাওলানা আব্বাস উদ্দিনের মেয়ে নুজাইফা খাবার না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।

শনিবার রাত ১০টার দিকে অজ্ঞাত দূর্বত্তরা শাবল দিয়ে বাড়ির দালান ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে ঘরের সবাই অচেতন থাকা অবস্থায় ঘরের আলমারীতে রক্ষিত স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে যায়।

এ সময় আলাউদ্দিন বাচ্চুর শিশু সন্তান আল আমিন দূর্বৃত্তদের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘুম থেকে উঠলে দূর্বৃত্তরা তার মাথায় কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।

শনিবার গভীর রাতে গ্রীস থেকে আলাউদ্দিন বাচ্চু বাড়িতে মুঠো ফোনে ফোন করলে কোন সাড়া না পেয়ে শ্বশুর বাড়িতে থাকা তার ছোট ভাই গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী নাছিমাকে ফোন দিয়ে বাড়িতে খোঁজ-খবর নিতে বলেন। পরে গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী রোববার সকালে বাড়িতে এসে বাড়ির বিভিন্ন কক্ষে সবাইকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।

এসময় শিশু সন্তান আলাউদ্দিনকেও রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। এক পর্যায়ে প্রতিবেশীরা তাদেরকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

নাঙ্গলকোট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিবারের সবাই অসুস্থ থাকায় তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয় নাই। তারা সুস্থ হয়ে এসে থানায় অভিযোগ প্রদান করলে আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে