নানিয়ারচর উপজেলাতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন স্থাপন করার কথা থাকলেও কোন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকায় উপজেলা সদরসহ চারটি ইউনিয়নের হাটবাজারে দোকানপাট, প্রতিষ্ঠান ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা অগ্নিঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। প্রতিবছরই এ উপজেলায় অগ্নিকান্ডে মানুষের কোটি কোটি টাকার সম্পদ পুড়ে নষ্ট হচ্ছে।

নানিয়ারচর উপজেলার হাট-বাজারগুলোর কোথাও অগ্নিকান্ড বা দূর্যোগ ঘটলে রাঙ্গামাটি সদরের ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ওপর ভরসা করতে হয়। রাঙ্গামাটি জেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পৌঁছাতে আগুনে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

সম্প্রতি কয়েক বছরে এই উপজেলার আশপাশে বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে, খবর পেয়ে রাঙ্গামাটি সদর থেকে ফায়ার সার্ভিসের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা সময় লেগে যায়। ততক্ষণে আগুনে সবকিছু পুড়ে শেষ হয়ে যায়।

দেশের বর্তমান অগ্নিকাণ্ডের পরিস্থিতিতে দূর্গম নানিয়ারচর উপজেলাতে দ্রুত ফায়ার ষ্টোশন করা জরুরী বলে মনে করছেন নানিয়ারচরবাসি।

পাওয়ার টিলার চাপায় স্কুল শিক্ষার্থী নিহত

এই উপজেলায় রয়েছে একটি উপজেলা পরিষদ ও থানার স্থায়ী কার্যালয় ছাড়াও বিপিডিবির বিদ্যুতের একটি ষ্টোশন, উপজেলার প্রশাসনিক ভবন,নানিয়ারচর সেনা জোন, নানিয়ারচর বাজার,ঘিলাছড়ি, বগাছড়ি, বুড়িঘাট, সাবেকক্ষন এলাকাসহ সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল, ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিক ও ব‍্যাংক। আশেপাশে কলেজ, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।

এসব স্থাপনায় অগ্নিকান্ড ঘটলে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করার ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

এ বিষেয়ে স্থানীয়রা জানান , ‘উপজেলা পর্যায়ে ফায়ার স্টেশন না থাকায় রাঙ্গামাটি সদরের ফায়ার সার্ভিসের উপর আমাদের নির্ভর করতে হচ্ছে। শুনেছি উপজেলায় ফায়ার ষ্টোশন তৈরি হবে,এখনো কাজ শুরু হয়নি।সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে নজরে এনে অতি দ্রুত ফায়ার সার্ভিস ষ্টোশন তৈরির অনুরোধ করছি।

রাঙ্গামাটি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের অফিসার দিদারুল আলম জানান, জেলা অফিস থেকে নানিয়ারচরে ফায়ার স্টেশনের অপারেশনাল কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে,যা আমাদের জন‍্য অতি কষ্টকর,দুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি কমাতে নানিয়ারচর উপজেলায় ফায়ার স্টেশন স্থাপনের জন‍্য সরকারিভাবে জায়গা নেওয়া হয়েছে।অচিরেই বারাদ্ধ পেলে কাজ শুরু হবে।

সুশীল সমাজ বলছেন, তবে কবে থেকে কাজ হবে তা অজানা রয়েছে।

যাযাদি/ এম