গোপালগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার ঘোষেরচর দক্ষিনপাড়া গ্রামের বাবু শেখের ছেলে ৫ম শ্রেণির ছাত্র রামিম শেখ (১০), কাশিয়ানী উপজেলার পুইশুর গ্রামের আব্দুল আলী মোল্লার ছেলে জুয়েল মোল্লা (৪২), গোপালগঞ্জ সরকারি শেখ ফজিলাতুন্নেসা মহিলা কলেজের শিক্ষক পিনাকী রঞ্জন দাস (৪৭) এবং উলপুর এম এইচ খান কলেজের শিক্ষক বাবুল সরকার (৪৮)।
শনিবার দিবাগত রাতে সদর উপজেলার পৃথক স্থানে এসব দুর্ঘটনা ঘটে বলে গোপালগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আনিচুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, শনিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার চাপাইল সড়কে ট্রলির নিচে চাপা পড়ে রামিম শেখ মারাত্মক আহত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রাত ৯টার দিকে মারা যায়।
অন্যদিকে, একই রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাশিয়ানী থেকে মটর সাইকেলে করে গোপালগঞ্জ সরকারি ফজিলাতুন্নেসা মহিলা কলেজের শিক্ষক পিনাকী রঞ্জন দাস, এম.এইচ.খান কলেজের শিক্ষক বাবুল সরকার এবং ইমাদ পরিবহনের সুপারভাইজার জুয়েল মোল্লা জেলা শহরে আসছিলেন। শহরের কাছেই হরিদাশপুর এলাকায় পৌছালে তাদের মটর সাইকেলটিকে সেতু পরিবহনের একটি বাস ধাক্কা দেয়। এতে তারা তিনজনই ছিটকে পড়ে মারাত্মক আহত হন। তাদেরকে মারাত্মক আহত অবস্থায় গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জুয়েল মোল্লা মারা যায়। আহত ২ শিক্ষককে মুমূর্ষ অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে গভীর রাতে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
যাযাদি/ এসএম