মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে। সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রাপ্ত ভোটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভোটের গড় ১৮ থেকে ২১ ভাগ। সকাল থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে কিছুটা বাড়ে। এই নির্বাচনে সাতজন চেয়ারম্যান প্রার্থী, পাঁচজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং পাঁচজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নানা হিসেব-নিকেশ শেষে উপজেলার ভোটাররা আজ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে পছন্দের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। দিন শেষে যার চূড়ান্ত ফলাফল যানা যাবে আজ রাতেই।
সংশ্লিষ্ট সুত্র অনুযায়ী, উপজেলার আটটি ইউনিয়নের ৬৪টি ভোট কেন্দ্রের ৪৬৫টি ভোট কক্ষে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে। উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা এক লাখ ৮১ হাজার ৩৬২। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৯২ হাজার ৯৩৪ এবং নারী ভোটার ৮৮ হাজার ৪২৮। ভোট গ্রহণের কাজে নিয়োজিত প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারদের নির্বাচনী কর্মশালা সম্পন্ন করা হয়েছে। ৬৪ জন প্রিজাইডিং, ৪৬৫ জন সহকারী প্রিজাইডিং এবং ৯৩০ জন পোলিং অফিসার ভোট গ্রহণের কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।
মহম্মদপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে (দ্বিতীয় ধাপে) চেয়ারম্যান পদে অংশ গ্রহণ করছেন ৭ জন। তারা হলেন-উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান (আনারস), উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কবিরুজ্জামান কবির (শালিক), প্রকৌশলী আনিসুল ইসলাম ইসলাম হান্নান (হেলিকপ্টার), উপজেলা আওয়ামলী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মোছা: বেবী নাজনীন (কাপ-পিরিচ), অধ্যক্ষ আবু আব্দুল্লাহেল কাফী (দোয়াত কলম), দীঘা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা জাফর সাদিক (ঘোড়া) এবং যুবলীগ নেতা কাজী আনিসুর রহমান তৈমূর (মোটরসাইকেল)। এই নির্বাচনে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যার যার পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। বিএনপি, জামায়াত ও জাতীয় পার্টিসহ অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা ভোটে অংশ গ্রহণ করেনি। তবে বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের এবং জাতীয় পার্টির কিছু নেতাকর্মী বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে গোপনে নির্বাচনী কাজ করেছেন। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়েছেন বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে।
চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান (আনারস), উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কবিরুজ্জামান কবির (শালিক পাখি) এবং প্রকৌশলী আনিসুল ইসলাম ইসলাম হান্নানের (হেলিকপ্টার) মধ্যে ত্রিমুখি লড়াইয়ের সম্ভাবনার আভাস দিয়েছেন সাধারণ ভোটাররা। উপজেলা আওয়ামলী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মোছা: বেবী নাজনীন (কাপ-পিরিচ) রয়েছেন আলোচনায়। নীরব ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে ফের মসনদ জয়ের স্বপ্ন দেখছেন বিগত উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীকে পরাজিত করে জয়ী হওয়া অধ্যক্ষ আবু আব্দুল্লাহেল কাফী (দোয়াত কলম)। দীঘা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা জাফর সাদিক (ঘোড়া) এবং যুবলীগ নেতা কাজী আনিসুর রহমান তৈমূর (মোটরসাইকেল) চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও তাদেরকে নিয়ে খুব একটা আলোচনা হচ্ছে না। তবে জয়ের ব্যাপারে সাত প্রার্থীই আশাবাদি। শেষ পর্যন্ত কে পরবেন বিজয়ের হাসি কে হাসবেন! তা জানা যাবে আজ রাতেই।ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন-উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ঈদুল শেখ (চশমা), উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সুজন শিকদার (তালা), মাহবুবুর রহমান (মাইক), সাংবাদিক আশরাফুল আলম সাগর (টিউবওয়েল) এবং মুজিবর রহমান (টিয়া পাখি)।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার পলাশ মন্ডল বলেন, ‘ ব্যাপক নিরাপত্ত্বার মধ্যে আমাদের উপজেলায় উৎসবমূখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে। এখনও পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।’
যাযাদি/ এসএম