নোয়াখালীতে বন্যার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সীমাহীন লোডশেডিং। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিপাকে পড়েছেন শিশু, বয়োজ্যেষ্ঠরা। গত এক সপ্তাহ ধরে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন।
জানা যায়,নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী বেগমগঞ্জসহ ৯ টি উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে ঘরবাড়ি ডুবে গেছে।অনেকেই আশ্রয় কেন্দ্র বসবাস করছে। এতে জনজীবন চরম দুর্ভোগে পড়েছে। একদিকে বন্যা অন্যদিকে পল্লী বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে জনজীবন আরো অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে। দিনে ২ ঘন্টাও বিদ্যুৎ থাকে না। সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ দিলেও পুরো রাত অন্ধকারে থাকতে হয়। এতে জনজীবন আরো অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
তথ্যসূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার দাদপুরে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পল্লীবিদ্যুতের একটি সাবস্টেশনে হামলা চালিয়েছে কিছু স্থানীয়রা। ওই সময় গিয়াস উদ্দিন নামে পল্লী বিদ্যুতের একজন লাইনম্যানকে পিটিয়ে আহত করে বিক্ষুদ্ধ জনতা।
স্থানীয়রা জানায়, গত ১০-১২ দিন উপজেলার দাদপুর সাবস্টেশনের আওতায় থাকা পূর্ব চর মটুয়া, চর মটুয়া, দাদপুর ও নোয়ান্নই ইউনিয়ন এলাকায় ভয়াবহ লোডশেডিং দেখা দেয়। একপর্যায়ে স্থানীয় বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পল্লী বিদ্যুতের সাবস্টেশনে হামলা চালায়।
পল্লী বিদ্যুৎ নোয়াখালীর জেনারেল ম্যানেজার মো. জাকির হোসেন বলেন, জেলায় পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক রয়েছে ৭ লাখ ৩২ হাজার প্রায়। বিদ্যুতের চাহিদা পিকআওয়ারে ১৭২ মেগাওয়াট এবং অফ পিকআওয়ারে ১৩২ মেগাওয়াট। গড়ে দুসময় মিলে ৬০ ভাগ বার তারও কিছু কম (৯০ থেকে ১০০ মেগাওয়াট) বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে। গ্রামের লোডশেডিংয়ের মাত্রা তুলনা মূলক বেশি, সরবরাহ পাওয়ার ভিত্তিতে গ্রাহকদের লাইন বুঝে বিদ্যুৎ দেওয়া হচ্ছে।
যাযাদি/ এসএম