১ লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের অনুষ্ঠান থেকে বাসায় ফেরার পথে হবিগঞ্জ-১ আসনের সাবেক এমপি ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ সুজাত মিয়ার ওপর যুবলীগ সন্ত্রাসী দ্বারা হামলা এবং রাতে বাসায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার সহ দপ্তর সম্পাদক এ্যাড. তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মহাসচিবের এই উদ্বেগ ও নিন্দা কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের পতন হলেও আবারও তারা হারানো ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। একদিকে বিদেশের মাটিতে বসে পলাতক ফ্যাসিস্টরা ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করছে। অন্যদিকে দেশের ভিতরে গোপনে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সংঘবদ্ধ হয়ে বিএনপিসহ গণতন্ত্রকামী দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। কারণ তাদের কাছে আছে লুটপাটের অঢেল টাকা। প্রশাসনসহ বিভিন্ন সেক্টরে ফ্যাসিবাদের ভুত ঘাপটি মেরে আছে। তারাই সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিয়ে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করছে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে এ দেশ জুড়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা।
সম্প্রতি এরই বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে গত ১ মে দুপুরে সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ সুজাত মিয়ার ওপর স্থানীয় যুবলীগ ক্যাডারদের আক্রমন এবং রাতে তার বাড়িতে আগুন দেয়া। দাঙ্গা হাঙ্গামা ও সহিংসতাই হচ্ছে আওয়ামী রাজনীতির প্রধান বৈশিষ্ট। এরা ক্ষমতায় থাকতে গত ১৫ বছর ভোটবিহীন রক্তাক্ত পথে শাসন করতে গিয়ে দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বিএনপির মহাসচিব শেখ সুজাত মিয়ার ওপর এ ধরনের ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে হামলায় জড়িত আওয়ামী যুবলীগ ক্যাডার রানাসহ সকল দুস্কৃতিকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান।
উল্লেখ্য- ১লা মে বৃহস্পতিবার সকালে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে নবীগঞ্জ-হবিগঞ্জ সড়কের তিমিরপুর এলাকায় নবীগঞ্জ উপজেলা শ্রমিকদলের উদ্যোগে র্যালি ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন হবিগঞ্জ-১ আসনের সাবেক এমপি ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ সুজাত মিয়া।
শ্রমিকদলের র্যালী ও আলোচনা সভা শেষে বাসায় ফেরার উদ্দেশ্যে গাড়িতে ওঠার সময় তিমিরপুর এলাকার মৃত আহমদ মিয়ার ছেলে যুবলীগ নেতা জামিল মিয়াসহ কয়েকজন যুবলীগ ক্যাডার দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়ার উপর হামলা চালায়। এসময় স্থানীয় নেতাকর্মীদের প্রতিরোধের মুখে অল্পের জন্য রক্ষা পান সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়া। বিএনপি নেতাকর্মীদের দাবী- শেখ সুজাত মিয়ার উপর পিস্তল, দেশীয় রামদা ছুরিসহ হামলা চালানো হয়। পরে নবীগঞ্জ থানার ওসি মো. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ স্থায়ীয়দের সহযোগিতায় হামলাকারী জামিল মিয়াকে অস্ত্রসহ আটক করেন। এ ব্যাপারে যুবদল নেতা শেখ শিপন বাদী হয়ে জামিলসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই দিন রাতেই সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়ার বাসায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
যাযাদি/ এসএম