লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ঘরে ঢুকে মঞ্জু রানী নামে এক হিন্দু মহিলাকে কুপিয়ে স্বর্নালংকার লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে পৌরসভা ছাত্রলীগ কর্মি মহিন উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মঞ্জু রানী বাদী হয়ে রামগতি থানায় মহিনকে আসামি করে একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন।
মহিন রামগতি পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চর সেকান্দর গ্রামের ছেরাজল হক (ছেরু হাওলাদার) বাড়ির তোফায়েলর ছেলে। গোপন সংবাদে খবর পেয়ে র্যাব -৩ ও র্যাব-১০, রবিবার রাতে অভিযান চালিয়ে ঢাকার কেরানিগঞ্জ থেকে মহিনকে গ্রেপ্তার করে সোমবার রামগতি থানায় সোপর্দ করে। ৬মে মঙ্গলবার ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালত সোপর্দ করা হয়।
এজাহার সূত্রে ও মঞ্জু রানীর ছেলে শিক্ষক রবি শংকর জানান ২৯ শে এপ্রিল চর সেকান্দর গ্রামের নিজ বাড়ির বসত ঘরে পুজোর ঘরে তার মা সান্ধ্য কালিন পুজো দিচ্ছিল ওই ঘরে ঢুকেই তার হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে ওইসময় জোর পূর্বক মহিন তার মায়ের গলায় চেইন কানের দুল ও হাতের আংটি প্রায় পৌনে দুই ভরি স্বর্ন নিয়ে পালিয়ে যান। মায়ের চিৎকার শুনে এলাকা বাসী এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পরদিন ৩০ এপ্রিল তার মা মহিনকে আসামি করে রামগতি থানায় একটি ডাকাতির মামলা করেন। রবি শংকর আরো বলেন মহিনের বিরুদ্ধে চুরি ডাকাতি সহ নানা অভিযোগ আছে সে পৌরসভা ছাত্র লীগের সক্রিয় কর্মি ছিলো এলকায় পৌর ছাত্র লীগের সভাপতি প্রার্থী মো সোহেল হয়ে কাজ করতেন।
রামগতি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ কবির হোসেন জানান প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মহিন ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার করা স্বীকার করেছে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এসময় ৭ দিনের রহিমা চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে।