বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২

তুহিনের মুক্তির দাবিতে নীলফামারীতে বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী
  ০৬ মে ২০২৫, ১৭:০৬
তুহিনের মুক্তির দাবিতে নীলফামারীতে বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি
ছবি: যায়যায়দিন

বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বড় বোনের ছেলে নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের মুক্তির দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা নীলফামারী। অবৈধ সম্পদ অর্জন ও কর ফাঁকির পৃথক দুটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারান্তরীণ তুহিনের মুক্তির দাবিতে প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন স্থানে মিছিল মিটিং ও সমাবেশ করে আসছেন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার তার মুক্তির দাবিতে জেলা বিএনপির উদ্যোগে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিলের সমর্থনে সকাল থেকেই বিভিন্ন ইউনিয়ন ও উপজেলা থেকে শতশত নেতাকর্মী ব্যানার, ফেষ্টুন ও প্ল্যাকাট নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে সমবেত হন। এখান থেকেই দুপুরে কয়েক হাজার নেতাকর্মীর একটি বিশাল মিছিল শহর প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপি’র সভাপতি আ খ ম আলমগীর সরকার, সাধারন সম্পাদক জহুরুল আলম, সহ-সভাপতি মুক্তার হোসেন, পৌর বিএনপির সভাপতি মাহবুব উর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আল মাসুদ চৌধুরী, ডোমার উপজেলা বিএনপির সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম,

ডিমলা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনোয়ার হোসেন, জলঢাকা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ময়নুল ইসলাম, জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ্যাডভোকেট আবু মোহাম্মদ সোয়েম। বক্তারা বলেন, তুহিন ভাই শুধু একজন ব্যক্তি নন, তিনি জিয়া পরিবারের অন্যতম সদস্য। সাবেক সংসদ সদস্য এবং নীলফামারী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। তাকে নিয়ে আমরা গর্বিত। তার হাত ধরেই এগিয়েছে নীলফামারী। রাজনৈতিক আক্রোশে তিনি আজ নির্যাতিত।

সমাবেশ শেষে প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস বরাবর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান এর মাধ্যমে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন বিএনপি নেতারা।

উল্লেখ্য যে, কর ফাঁকি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালে শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের বিরুদ্ধে ঢাকাস্থ গুলশান থানায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের করে, দুর্নীতি দমন কমিশন। এদিকে ২০০৮ সালে অনেকটা তড়িঘড়ি করেই কর ফাঁকির মামলার দুটি ধারায় তুহিনকে যথাক্রমে ৩ বছর ও ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের রায় প্রদান করেন আদালত। দীর্ঘ প্রবাস জীবন শেষে তুহিন গত ২৯ এপ্রিল ঢাকার পৃথক দুই বিশেষ জজ আদালতে আইনজীবির মাধ্যমে আতœসর্ম্পণ করে, জামিনের প্রার্থনা করেন। কিন্তু আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এ রায়ের পর থেকেই নীলফামারী বিএনপির কান্ডারি এবং এলাকায় অত্যন্ত সাদা মনের মানুষ হিসেবে ব্যাপক পরিচিত শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের মুক্তির দাবিতে ফুঁসে উঠে গোটা নীলফামারী।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে