বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২

সলঙ্গায় কিশোর গ্যাং দিয়ে সাংবাদিকদের উপর হামলা

সলঙ্গা (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
  ০৬ মে ২০২৫, ১৭:৫২
সলঙ্গায় কিশোর গ্যাং দিয়ে সাংবাদিকদের উপর হামলা
ছবি: যায়যায়দিন

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার সলঙ্গা ইউনিয়নের পুরাতন বেড়া এলাকায় মাদক ব্যাবসা ও ভেজাল ঔষধ কারখানা পরিচালনা করার জন্য গড়ে তুলেছেন নিজস্ব কিশোর গ্যাং রয়েছে নিজস্ব ওয়াকিটকি ও।

তথ্য অনুসন্ধানে জানাজায়,সলঙ্গা থানার পুরাতন বেড়া এলাকায় বদিউজ্জামান এর ছেলে মহিবুল্লাহ্ সবুজ ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত লেখা পড়া করেই কেমিস্ট বনে গিয়ে নিজ বাড়িতেই ল্যাব ছাড়াই তৈরি করছেন তিল,আচিল, নাকের পলিপাসের ঔষধ। বাংলাদেশ হেলথ কেয়ার ফেজবুক পেজে অনলাইনে চটকদার বিঙ্গাপন দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছেন।

এছাড়া ও তার ঔষধ ব্যবসার অন্তরালে চরবেড়া এলাকায় গাঁজা ও ইয়াবার ব্যবসার একছত্র অধিপত্যে গড়ে তুলেছেন। তার অবৈধ এসব ব্যবসা পরিচালানা ও কিশোর গ্যাং এর সদস্যদের সাথে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করার জন্য কিনে নিয়েছেন নিজস্ব ওয়াকিটকিও।

রাতের বেলায় পুলিশ প্রশাসন এলাকায় ঢোকায় আগেই নাকি ওয়াকিটকির মাধ্যমে খবর পৌছে যায় নির্জন বাগানে তাদের ব্যবহৃত মাদক আড্ডা ও ঔষধ প্রস্তুতকারী সেই ঘরে। মুহুর্তেই পাল্টে ফেলেন সবকিছু। রয়েছে তার বিরুদ্ধে এলাকার একাধিক ব্যক্তিকে হামলা ও কিশোর গ্যাং সদস্যদের দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ। নিজস্ব প্রাইভেটকারে এসব সদস্যদের দিয়ে নাকি অপহরণেরর ও ঘটনা ঘটান।

তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলাও।

উল্লেখ্য গত ৫ ই মে এসব তথ্য অনুসন্ধানের জন্য সাংবাদিকেরা পুরান বেড়া এলাকায় গেলে মহিবুল্লাহ সবুজ বোন বোন জামাই সহ তার বাহিনীর হামলার শিকার হন তারা।

এ সময় সাংবাদিকরা জরুরী সেবা ৯৯৯ ফোন দিলে সলঙ্গা থানা পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে।

এসময় একজনের অবস্থা গুরুতর হলে তাকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় সলঙ্গা থানায় একটি মামলা হয়েছে। এঘটনার পর থেকে মহিবুল্লাহ্ সবুজ ও তার গ্যাংয়ের সদস্যরা ঘাঁ ঢাকা দিয়েছে।

নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এলাকাবাসী অনেকেই জানান, মহিবুল্লাহ্ সবুজ মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে কিছুদিন সলঙ্গা বাজারের মাদ্রাসা মোড়ে হোমিওপ্যাথিক ঔষধের দোকান দিয়েছিল। এর পর সলঙ্গা বাজারের ব্যবসায়ী রতনের সাথে ঝগড়া বাধিয়ে নিজের গাড়ি নিজেই পুড়িয়ে তাদের বিরুদ্ধে গাড়ি পোড়ানো ও তার বোনকে দিয়ে মিথ্যা ধর্ষনের মামলা করিয়েছিলেন।

এরপর তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা জরিমানা নিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করে ফেলেন।

এরপর এলাকায় এসে আস্তে আস্তে নিজস্ব বাহিনী গড়ে তুলেছেন। নির্জন বাগানে অফিস গড়ে তুলেছেন। ঔষধ ব্যবসা নামমাত্র সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে রাত হলেই বসে মাদকের আড্ডা। তাদের সদস্যদের কাছে ওয়াকিটকিও থাকে রাতের বেলা অপরিচিত লোকজন বা প্রসাশনের লোকজন আসার আগেই সেখানে খবর পৌছানো হয় সেই ওকিটকির মাধ্যমে। তারা এলার্ট হয়ে যায়। তার একটি প্রাইভেট কারও রয়েছে সাড়াদিন রাস্তায় পড়ে থাকলেও রাত হলেই মাঝে মাঝে অদৃশ্য হয়ে যায় সেই গাড়ি।

এনিয়ে আশেরপাশের লোকজন কিছু বলতে গেলে মূহুর্তেই তাদের গ্যাংয়ের সদস্যরা এসে হাজির হয়ে যায়। তাদের ভয়ভীতি ও নির্যাতন করে উল্টো তার বোন ও বউকে দিয়ে মামলার ভয় দেখায়। এজন্য এলাকার লোকজন ভয়ে কেউ কিছুই বলে না। তার আপন এক চাচাতো ভাই জানায়, আমরাও তাদের নির্যাতনের শিকার,কয়েকদিন আগেই আমাদের মারধর করেছে। আমরা ভয়ে থানায় পর্যন্ত যেতে সাহস পাই নাই। সবুজের মারপিটের অত্যাচারে আগের দুটি বউ ও চলে গিয়েছে।

এ বিষয়ে সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.মোখলেছুর রহমান জানান,সাংবাদিকদের হামলার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে আসামীদের আটকের চেষ্টা চলছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে