২০০৯ সালে আ,লীগ ক্ষমতায় আসার পর বাড়িঘর ভেঙে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়ে ওই জমি জোরপূর্বক দখল করে নেওয়ার অভিযোগ স্থানীয় সাবেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ ভূঁইয়া কমল ও তার বড় ভাই জাকির হোসেনে ভূইয়ার বিরুদ্ধে। গফুরের পরিবারের আবারোাও বাপ-দাদার ভিটায় ঘর বাঁধার স্বপ্ন নিয়ে দ্বারে-দ্বারে ঘুরছেন ওই পরিবারে সদস্যরা। ঘটনাটি ঘটেছে নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার পাটুলী ইউনিয়নের সুটুরিয়া গ্রামের। নরসিংদী জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার,ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন দপ্তরে বাপ দাদার ভিটা ফিরে পাওয়ার আশায় প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর সহ এলাকাবাসীর কাছে।
লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সুটুরিয়া গ্রামের আব্দুল গফুর একজন সক্রিয় বিএনপির কর্মী ছিলেন । আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের ৮ মে একই গ্রামের মতিউর রহমান বাদশার ছেলে জাকির হোসেন ভূঁইয়া এবং বেলাবো উপজেলার নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ ভূঁইয়া কমলের নেতৃত্বে বেলাবো এবং মনোহরদী উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী সাথে নিয়ে আব্দুল গফুরের পৈতৃক ভিটায় হামলা চালায়।এসময় আব্দুল গফুর ও তাঁর চার ছেলের নয়টি মাটির ঘর ভেঙে গুড়িয়ে দিয়ে সবকিছু লুটপাট করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ওই জমি মতিউর দখলে নেয়।
আব্দুল গফুরের ছেলে আব্দুস সোবহান জানান, আমার পিতার মৃত্যুর পর তাঁর রেখে যাওয়া ছয় বিঘা জমি আমরা ভোগ দখল করে আসছি।উক্ত জমিতে বিভিন্ন ফলের বাগানসহ বসতভিটা ছিল। শুধুমাত্র বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় আমাদের সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ করে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে জোরপূর্বক দখল করে নেয় ছাত্রলীগ নেতার বাবা মতিউর রহমান বাদশা ও তার ছেলেদ্বয়। তিনি আরো বলেন,২০০৯ সালের ৮ মে শতাধিক আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে সবকিছু লুটপাট করে নিয়ে যায়। এতে আমাদের প্রায় ৬০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। এসময় আমরা প্রতিবাদ করতে গেলে আমাদেরকে মারধর করে এবং উল্টো মামলার ভয় দেখিয়ে বাড়ি ছাড়া করে। আমার ভাই আহত আব্দুল খালেক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন আরেক ভাই বর্তমানে মানসিক ভারসাম্যহীন।
তারপর থেকে বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে আছি। আমরা পৈত্রিক ভিটায় ফিরতে বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরেও কোন বিচার পাইনি। এমনকি ভাই হত্যারও কোন বিচার হয়নি।
উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক বাচ্চু ,সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ হারুন অর রশিদ সহ স্থানীয়রা জানান, বিএনপি করার কারণে এই পরিবারটিকে ভিটে ছাড়া করে লুটপাট করা হয়। এমনকি ভিটের মাটি পর্যন্ত কেটে নিয়ে যায় আওয়ামী বাহিনী। তখন চোখে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না আমাদের।
এদিকে ভুক্তভোগী আব্দুল আউয়ালের ছেলে সোহাগ মিয়া জানান, আমাদের পৈত্তিক ভিটায় আমরা পুরো পরিবার পুনরায় একত্রে বসবাস করতে চাই। দেশবাসী ও প্রশাসনের কাছে এটাই আমাদের চাওয়া।
এব্যাপারে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সাব্বির আহমেদ ভূইয়া কমল জানান, গফুর মিয়ার পরিবারের সাথে আমাদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। ২০০১ সালে বিএনপির ক্ষমতায় গেলে গফুরের পরিবার জোরপূর্বক আমাদের জমিজমা দখল করে নিয়ে নেয়।
এ বিষয়ে বেলাবো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল করিম বলেন,অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।