বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২

টুঙ্গিপাড়ায় নদী ভাঙন, রোধকল্পে কাজ শুরু করেছে পাউবো

স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ
  ০৬ মে ২০২৫, ১৯:০০
টুঙ্গিপাড়ায় নদী ভাঙন, রোধকল্পে কাজ শুরু করেছে পাউবো
ছবি: যায়যায়দিন

টুঙ্গিপাড়ায় একটি গুরুত্বপূর্ন গ্রামীন সড়কের চিতলিয়া নামক স্থানে শৈলদহ নদীর ভাঙ্গনে ১০ গ্রামের যাতায়াত বিচ্ছিন্ন হওয়ার চারদিনের মাথায় প্রতিরক্ষা কাজ শুরু করেছে গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড।

মঙ্গলবার (৬ মে) বিকেলে প্রতিরক্ষা কাজের উদ্বোধন করেন টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মঈনুল হক। এসময় গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ জাকারিয়া ফেরদৌস, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ মারুফ দস্তগীর, পাউবো উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ শাহিন আলম, সাংবাদিক মোজাম্মেল হোসেন মুন্না, গোপালগঞ্জ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক প্রসূন মন্ডল প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ০২ মে টুঙ্গিপাড়ার উপজেলার ডুমরিয়া ইউনিয়নের ডুমরিয়া-সড়াবাড়ি সড়কের চিতলিয়া নামক স্থানে শৈলদহ নদীর ৫০ মি,টার এলাকা ভেঙ্গে এলজিইডির পাকা সড়ক নদীগর্ভে বিলীন হয়। তারপর থেকে ১০টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটর ঘুরে তাদের চলাফেরা করতে হয়। এরপর গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীগন ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুজ্জামান টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মঈনুল হককে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলেন। দ্রæত এই অবস্থা থেকে গ্রামবাসীদের দুর্ভোগ কিভাবে লাঘব করা যায় সে ব্যাপারে এলাকাবাসীকে আশ্বাস দিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নদী ভাঙ্গন রোধে দ্রæত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।

এরপর গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম রেফাত জামিল বিষয়টি পাউবো উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে জরুরী ভিত্তিতে ৭৬ মিটার এলাকা বালুভর্তি জিওব্যাগ ডাম্পিং করে অস্থায়ী প্রতিরক্ষা কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্ধ ও দিক-নির্দেশনা চেয়ে প্রতিবেদন প্রেরন করেন। এরপর উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মঙ্গলবার বিকেলে পাউবো প্রতিরক্ষা কাজ শুরু করে।

গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ জাকারিয়া ফেরদৌস বলেছেন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলারর একটি গুরুত্বপূর্ন গ্রামীন সড়কের চিতলিয়া নামক স্থানে শৈলদহ নদীর ভাঙ্গনে ওই এলাকার প্রায় ১০ গ্রামের মানুষ যাতায়াত দুর্ভোগের শিকার হয়। জেলা প্রশাসক মহোদ্বয়ের সার্বিক তত্বাবধানে বাপাউবো উর্ধন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা ওই স্থানে অস্থায়ী প্রতিরক্ষা কাজ শুরু করেছি।

আশাকরছি আমরা দ্রæতই ওই স্থানের ভাঙ্গন প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবো।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে