বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২
১৫ দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি ধর্ষক

বিয়ের এক মাস পর জানা গেল নববধূ অন্তঃসত্ত্বা

সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি
  ০৬ মে ২০২৫, ১৯:৪১
বিয়ের এক মাস পর জানা গেল নববধূ অন্তঃসত্ত্বা
ছবি: যায়যায়দিন

বিয়ের মাত্র এক মাস পর জানা গেল নববধূ চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এতে পরিবারে ও এলাকায় শুরু হয় চরম অস্থিরতা। নববধূর পরিবার অভিযোগ করছে, মেয়েটি মানসিকভাবে আংশিক প্রতিবন্ধী এবং ছোটবেলা থেকেই দাদির কাছে মানুষ হওয়ায় সুযোগ নেয় প্রতিবেশী ধর্ষক মো. বিপ্লব খাঁ।

মেয়েটি জানায়, দীর্ঘদিন ধরে নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে আসছিল ওই ব্যক্তি। ওই মেয়েকে ধর্ষনের ঘটনা এই প্রথম নয়, অসহায় মেয়েটি অনেক ছোট থাকতেই লালসার শিকার হতে হয়েছে লম্পট বিপ্লব খা। ধষর্নের বিষয়টি স্বীকার করেছে তার বাবা মমতা খাঁ। তবে স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, ধর্ষকে চারীত্রিক সমস্যা থাকার কারনে ৪৬ বছর পার হলেও বিয়ে করতে ব্যর্থ হয়েছে।

গাইবান্ধার জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শালমারা ইউনিয়নের হিয়াতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নববধূর পিতা আব্দুল জলিল জানান, তিনি জীবিকার তাগিদে ঢাকায় অবস্থানকালে মেয়ে তানিয়াকে তার বৃদ্ধা মা জরিনা বেগমের কাছে রেখে যান। সেই সুযোগে পাশের বাড়ির বিপ্লব খাঁ প্রায়ই বাড়িতে যাতায়াত করতেন এবং মেয়ের প্রতি কুদৃষ্টি দিতে শুরু করেন।

২০২৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে মেয়েটির দাদি প্রকৃতির ডাকে বাইরে গেলে ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত তানিয়াকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে কাউকে না জানানোর জন্য শাসিয়ে যায় বিপ্লব। তানিয়া প্রতিবন্ধী হওয়ায় এবং প্রাণভয়ে কাউকে কিছু বলেননি। পরে, ২০২৫ সালের ৩ মার্চ পারিবারিকভাবে বগুড়ার সোনাতলার আগুনিয়াতাইড় গ্রামের টনি শেখের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।

বিয়ের পর নববধূ ঘনঘন বমি করতে থাকলে পরিবারের সন্দেহ হয় এবং ১ এপ্রিল সোনাতলার টাটা ডিজিটাল ডায়াগনোস্টিক কনসালটেশন অ্যান্ড ক্লিনিকে পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায়, তিনি ১৩ সপ্তাহ চার দিন ধরে গর্ভবতী। তখন পরিবারের কাছে বিস্তারিত খুলে বলেন তানিয়া। পরে, তাকে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে পাঠানো হয়।

ঘটনার পর ৬ এপ্রিল গোবিন্দগঞ্জ থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন তানিয়ার বাবা। অভিযুক্ত বিপ্লব খাঁ অভিযোগ পাওয়ার আগেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। কিন্তু অভিযোগ দায়েরের ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হাফিজুর রহমান জানান, ঘটনার পর থেকেই আসামি পলাতক রয়েছে। তবে গ্রেফতারের সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জও জানান, আসামি ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে