কক্সবাজারের দ্বীপ কুতুবদিয়া উপজেলার দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়নের নতুন বাতিঘর এলাকার দুই শত বছরের পুরাতন কবরস্থান সাগরের পানিতে ভাসছে। হারিয়ে পেলছেন পূর্ব পুরুষের করবের স্থান টুকুও এটি 'ওলোঘোনা কবরস্থান' নামে পরিচিত। এটা রক্ষার সরকারি-বেসরকারিভাবে নেই রক্ষার কোন উদ্যােগ। কথিত আছে, এ কবরস্থানের কাছাকাছি কোন মাছ ধরার ট্রলার আসলে সেটি দূঘর্টনার কবলে পড়ে। না হয় চোরাবালিতে আটকে যায়।
এদিকে,২০০ বছরের পুরোনো কবরস্থানটি ১৫'শও বেশি মানুষকে দাফন করা হয়।এদিকে,রহস্যজনক কারণে ১৯৯১ সালে কবরস্থানটি বেড়িবাঁধের বাইয়ে রেখে নির্মাণ করা হয়। এখন জোয়ার-ভাটায় সে স্থানটি সাগরে বিলীন হতে শুরু করেছে। সাগর ক্রমাগত এগিয়ে আসতে থাকায় সংকীর্ণ হয়ে এসেছে এ কবরস্থানটিও। এখন পুরো দ্বীপেই এখন দাঁড়িয়ে আছে সাগরে হারানোর ঝুঁকি নিয়ে। পূর্বপুরুষের কবরস্থানটি বেড়িবাঁধের ভিত্তরে নিয়ে আসার সরকারের কাছে দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
২ নং দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন আল আজাদ বলেন, বেড়িবাঁধের বাইরে কয়েকটি কবরস্থান আছে। বিশেষ করে ওলোঘানা করবস্থান। পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অনুরোধ অন্তত বাইরে যাওয়া কবরস্থান গুলো রক্ষা করুন। যাতে বাপদাদার স্মৃতি চিহ্ন গুলো জড়িয়ে রাখতে দাবি জানান এ জনপ্রতিনিধি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারি প্রকৌশলী এলটন চাকমা বলেন, বেড়িবাঁধে বাইয়ে যেলোকরা আছেন তারাও দাবি করে আসছিলেন। প্রাথমিক পর্যায়ে বেড়িবাঁধের কাজের পরিকল্পনা হলে সমস্যাগুলো তুলবো বলে জানান এ কর্মকর্তা।